রাজ্য

দলের তরফে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল বাবুল সুপ্রিয়কে, নতুন দায়িত্ব পেয়ে ‘প্রিয় দিদি’কে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূল বিধায়ক!

বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা গড়ার পর তৃণমূলের যে এবার লক্ষ্য দিল্লির মসনদ, তা কারোরই অজানা নয়। এই কারণে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রাজ্যের বাইরেও অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। ত্রিপুরা, গোয়া নানান রাজ্যে জনসংযোগ বাড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবির। এরই মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। দলের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করা হল তিনজনকে।

সূত্রের খবর, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করেছে তৃণমূল। বাবুলের পাশাপাশি কীর্তি আজাদ ও মুকুল সাংমাকেও এই পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নতুন এই গুরু দায়িত্ব পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি লেখেন, “ধন্যবাদ দিদি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নির্বাচিত করায়। আপনি যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালনের জন্য নিজের সেরাটা দেব”।

জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছে তৃণমূল। বাংলার বাইরে প্রথমে বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকে টার্গেট করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে গোয়া হোক বা ত্রিপুরা, সব রাজ্যের নির্বাচনেই জামানত জব্দ হতে হয়েছে তৃণমূলকেই। কিন্তু তবুও হাল ছাড়েনি তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতিতে জমি শক্ত করতে এবার এই তিন প্রভাবশালী নেতাকে জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।

বলে রাখি, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। ছেড়েছিলেন আসানসোলের সংসদ পদও। এরপর উপনির্বাচনে বালিগঞ্জে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন তিনি। জেতেনও ভোটে। গায়ক হওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘদিন রাজনীতিতে যুক্ত থাকায় দেশজুড়েই তাঁর খ্যাতি রয়েছে। এই কারণে তাঁকে এই গুরু দায়িত্ব দেওয়া যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা বুঝেছে তৃণমূল। আসলে ২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কোনওভাবেই এক চুল জমিও ছাড়তে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। আর সেই কারণেই সংগঠনকে মজবুত করতে উদ্যত হয়েছে বাংলার শাসকদল।

Back to top button
%d bloggers like this: