গাড়ি আটকে তোলাবাজি, থানার কর্মীকে হাতেনাতে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী, পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

বালির গাড়ি থেকে টাকা তুলছিলেন থানার কর্মী, টাকা না দেওয়ায় মারধর। ঘটনায় সেই থানার কর্মীকে হাতেনাতে ধরলন বিজেপি প্রার্থী। পুলিশের গাড়ি ঘিরে দেখানো হয় বিক্ষোভও। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা বিধানসভা কেন্দ্রের জামনা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বালির গাড়ি আটকে টাকা তুলছিল পুলিশ কর্মী। এই সময়ই প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন পিংলার বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য। তখন তিনি দেখেন। বালি বোঝাই এক গাড়ির চালককে মারধর করছে থানার এক কর্মী। এরপরই ওই বিজেপি প্রার্থী ও দলের কর্মীরা পুলিশের গাড়ি ঘিইরে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে রাখা হয় পুলিশের গাড়িকে।
এই বিষয়ে অন্তরা বলেন, “পিংলা থানার পুলিশ রোজ গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তোলে। আজ ফেরার পথে দেখি পিংলা থানার বাপ্পা নামের একজন এক গাড়ি চালকের কলার ধরে লাথি, ঘুষি মারছে। পাশে পুলিশ দাঁড়িয়ে। আমরা গাড়ি থেকে নেমে জিজ্ঞেস করলাম, গাড়িচালককে কেন মারছে? তখন অন্যান্য গাড়ি চালকরা নেমে আসে। আমাদের দাবী, বাপ্পাকে এখানে আনতে হবে। গাড়ি চালকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে।“ তাঁর দাবী, তৃণমূল এভাবে টাকা তুলে ভোটের খরচ চালাচ্ছে।
গাড়িচালক শেখ গুজুউদ্দিন বলেন, “সারেঙ্গা থেকে গাড়ি নিয়ে কাঁথি যাচ্ছিলাম। জামনা মোড়ের কাছে পুলিশ এসে দাঁড়ালে আমরা দুশো টাকা দিলাম। কিন্তু তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। প্রায় এগারোটা থেকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি। এখানকার পুলিশ কর্মীরা থানায় বাপ্পা বলে একজনকে ফোন করল। দুটো বাইকে ছ’জন পুলিশ এল। বাপ্পা এসে বলল, গাড়ি চালাতে গেলে মান্থলি দিতে হবে।” টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাপ্পা তাঁদের মারধর করে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই-ই নয়, মিথ্যা মামলায় জেলে ভরে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘নিজের পায়ে দাঁড়াতে না, আবার বাংলাকে দাঁড় করাবে কী করে’, মমতাকে বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের
এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন পিংলা থানার পুলিশ কনস্টেবল আবদুল মান্নার খান। তাঁর কথায়, “মোবাইল ডিউটিতে বেরিয়েছিলাম। বাপ্পা একটা বালির গাড়ি আটকে ছিল। বাপ্পা থানায় থাকে, এই থানার পুলিশ নয়। এমনি কাজ করে। ও গাড়ির চালকের গায়ে হাত দিয়েছিল। তখন ম্যাডাম ঘটনাটি দেখেন। তারপর আমাদের ছেলেরা আটকে দিয়েছে। বাপ্পা পালিয়ে গিয়েছে”।