তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর মন্তব্য, ভোটের আগে গ্রেফতার বিজেপি প্রার্থী, শোরগোল গলসিতে

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু এর আগেই গ্রেফতার হলেন বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে।
ওই বিজেপি প্রার্থীর নাম সঞ্জয় হালদার ওরফে দুকুল হালদার। তিনি গলসি-২ ব্লকের আদরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আদরা গ্রামের ৪ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, সঞ্জয়ের দুকুল হালদার নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার একটি বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ওইদিনই ওই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন। সেই কর্মসূচিতে আদরা গ্রামের শিবমন্দিরে পুজো দেন তিনি।
এই কর্মসূচি আগের থেকেই ঠিক করা ছিল। সেই নিয়েই সায়নীকে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন সঞ্জয় হালদার। অভিযোগ, ওই পোস্টে সায়নীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন তিনি। সেই পোস্টকে ঘিরেই এলাকাতে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অশোক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫(২) ধারায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে।
সঞ্জয়ের আইনজীবীর দাবী, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর জামিনের আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে, সরকারের পক্ষের আইনজীবীর দাবী, সঞ্জয়ের পোস্টের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাকে জামিন দিলে এলাকায় ফের অশান্তির সৃষ্টি হতে পারে। এরপরই অভিযুক্তকে আগামী ২৭ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজন মণ্ডল বলেন, “বিজেপি প্রার্থী যে নোংরা পোস্ট করেছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলেই প্রতিবাদ করেছেন”।
অন্যদিকে, বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ এই বিষয়ে বলেন, “যে কোনও কুরুচিকর পোস্ট করা উচিত নয়। তবে এক্ষেত্রে পুলিশ অতিসক্রিয়তা দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। বিজেপি করে বলেই এই অতিসক্রিয়তা। এর আগে আমরাও এই ধরনের কুরুচিকর পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করেছি। তখন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ”।