রাজ্য

‘তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে রাখা হবে এবার’, আবাস যোজনায় শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে হুঁশিয়ারি বিজেপি জেলা সভাপতির, শুরু বিতর্ক

আবাস যোজনায় (Awas Yojna) যোগ্যরা যদি বঞ্চিত হন, তাহলে তৃণমূল নেতাদের (TMC leaders) গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি শানালেন জলপাইগুড়ির বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী (Bapi Goswami)। তিনি এও বলেন যে পুলিশের যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে যেন আটকে দেখায়। গতকাল, সোমবার রাজগঞ্জে (Rajgunj) বিজেপির একটি প্রতিবাদ জমায়েত ছিল। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।

বলে রাখি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে এই রাজ্য থেকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। অভিযোগ, পাকা ভালো বাড়ি রয়েছে এমন লোকজন, তৃণমূল নেতা ও তাদের স্ত্রীদের নাম উঠছে আবাস যোজনার তালিকায়। অথচ যারা সত্যিকারের ঘরহারা, তাদের নামই নেই তালিকায়। গোটা রাজ্যে একই ছবি। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নাম জড়িয়েছে। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে এবার প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। নানান ব্লক অফিস ঘেরাও করে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।

আবাস যোজনার তালিকায় ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গতকাল, সোমবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, যারা যোগ্য, তাদের বাদ দিয়ে তৃণমূলের লোকদের তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতই এই বাড়ির দাবীদার, কাটমানি দিয়েও বাড়ি পাননি তারা। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই রাজগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিডিওকে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, “সরকারের দালালি করছেন এক শ্রেণির আধিকারিকরা। গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের লোকজন, পয়সাওয়ালা লোকজন ঘর পাচ্ছেন। সারা জলপাইগুড়ি জেলায় অনেক অঞ্চল অফিসে আমরা তালা মেরে দিয়েছি। বিক্ষোভ দেখিয়েছি। বিডিও অফিসে আমাদের বিক্ষোভ চলছে। রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকাতেও বিক্ষোভ দেখানো হল। তবে এটা কিন্তু ট্রেলার। যদি বিডিও, সরকারি আধিকারিকরা এর সঠিক বিচার না করেন, গরীব মানুষ যদি ঘর না পান, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ওই আধিকারিক-সহ তৃণমূল নেতাদের গাছে বাঁধা হবে আগামিদিনে। বিডিও অফিসে তালা মারব। পুলিশের হিম্মত থাকে যদি আমাদের যেন আটকায়। যদি সঠিক পথে না আসে, আমরা আঙুল বাঁকিয়ে হলেও ঘি তুলব”।

বিজেপি নেতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাপী গোস্বামীর কথা আর হুতম পেঁচার নকশা, দুটোই এক। বিজেপি আর কোনওদিনই তৃণমূলকে রুখতে পারবে না। কারণ, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক হার। ওরা কোমায় চলে গিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ওদের মৃত্যু ঘটবে”।

Back to top button
%d