রাজ্য

এবার ‘বেনিয়ম’-এর অভিযোগ উৎকর্ষ বাংলার টাকাতেও, প্রাপ্ত টাকাতে কাটমানি, প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের

উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পান নি কোনও ভাতা। আর প্রায় আট মাস পর সেই ভাতা পেলেও, সেখান থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে, এমনই অভিযোগ তুললেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এর প্রতিবাদে গতকাল, সোমবার পোলবা বিডিও অফিসে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান তারা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৮০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই টাকা কেউ পাচ্ছেন না তারা। কেউ পাচ্ছেন ৭৫০ টাকা তো কেউ আবার পাচ্ছেন ৬০০ টাকা।

এরই প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা জানান যে গতকাল, সোমবার তাদের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র দেওয়া হবে বলে ডাকা হয়। এদিনই ১৬ দিনের প্রশিক্ষণের ভাতা দেওয়ারও কথা ছিল। হিসাব অনুযায়ী তাদের ৮০০ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই টাকা থেকে একটা অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

এই বিষয়ে চৈতালি চট্টোপাধ্যায় নামে এক মহিলা বলেন, “স্কুলড্রেস তৈরির ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছিল। আমাদের মেয়েদের ৮০০ টাকা করে এসেছে। অন্য গ্রামপঞ্চায়েতে মেয়েরা ৮০০ টাকা করে পেলেও শাহজাহান স্যর, রফির স্যর আমাদের টাকা কেটে দিচ্ছেন। কাউকে ৫০০, কাউকে ৪০০, কাউকে ৭০০ টাকা দিচ্ছেন। কেন এটা হবে? জেলা থেকে তো সবার সমান টাকাই এসেছে। তাহলে এটা করছেন কেন”?

অন্যদিকে প্রশিক্ষক শাহাজাহান মল্লিক বলেন, “এতে আমাদের কোনও হাত নেই। যেমন ওনারা হাজিরা দিয়েছেন, আমরা সেটাই পাঠিয়েছি। ১৬ দিনের প্রশিক্ষণ হয়েছে। সই করতে হয়েছে সকলকে। বিডিও অফিসের লোকও ছিলেন। আমাদেরও লোক ছিল। ওয়ার্কশপ হয়েছে, পাঠিয়ে দিয়েছে নাম। কেন ওনারা টাকা কম পাচ্ছেন সেটাও আমরা বলতে পারব না। জেলা প্রশাসন বলতে পারবে”।

তাঁর সংযোজন, “১৬ দিনের কাটিংয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। কাপড় বাঁচিয়ে কীভাবে কাটিং করা যাবে তার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। মূলত স্কুল ড্রেস তৈরির ক্ষেত্রে ট্রেনিং দেওয়া হয়”। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ প্রশিক্ষণ নেওয়া মহিলারা। তাদের স্পষ্ট কথা, পুরো টাকাই তাদের দিতে হবে। তা না হলে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন তারা।

Back to top button
%d bloggers like this: