বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকে রাখা হয়েছে? মোদী সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলায় দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ১০০ দিনের কাজের টাকা। কেন এই টাকা আটকে রাখা হয়েছে, এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। জুলাই মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা নিয়ে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে ঠিকমতো তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্র সেই টাকা মেটাচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্যের। আবার কেন্দ্রের পাল্টা দাবী, ১০০ দিনের কাজে রাজ্য়ে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। এদিন শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, “রাজ্যের ‘অ্যাকশন টেকেন’ রিপোর্ট হয় গ্রহণ করুন অথবা বাতিল করুন। কিন্তু কিছু একটা করতে হবে তো”। তাঁর নির্দেশ, ভুয়ো নাম, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়েও যথাযথ তদন্ত করতে হবে।
এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করেন আইনজীবী সম্রাট সেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে। এরপর থেকে রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে ৪-৫টি অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রকে একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার না হতে হয়।
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের বকেয়া টাকা নিয়ে বারবার কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার তিনি কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেই কারণে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। এতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কথাও জানানো হয়।