ফের কারচুপি! মিড ডে মিলের টাকা থেকে ভোটকর্মীদের ভাতা দেওয়ার অভিযোগ, রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

আজ বাদে আগামীকাল পঞ্চায়েত ভোট। এর আগে ফের একপ্রস্থ অভিযোগ উঠল রাজ্যের বিরুদ্ধে। মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকা থেকেই পঞ্চায়েত ভোটে কর্মীদের ভাতা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। নির্বাচন কমিশন যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার গতকাল, বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। এদিন কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আনেন তিনি যাতে দেখা যাচ্ছে মিড ডে মিলের টাকা ভাতা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যৌথ মঞ্চের কিছু সরকারি কর্মীও এই একই মেসেজ পেয়েছেন বলে অভিযোগ।
এদিন সুভাষ সরকার জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মিড ডে মিল প্রকল্পের টাকা অন্যখাতে খরচের অভিযোগ উঠেছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে শিক্ষা মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন পি এম পোষণ প্রকল্পের তরফ থেকে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য যদি এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট না দেয়, সে তাহলে রাজ্যে ফের কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হতে পারে।
এদিন আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবী সুভাষ সরকারের। তাঁর অভিযোগ, ওই স্ক্রিনশটের ছবি সামনে আসার পর মিড ডে মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটিকে নাকি মিসলেনিয়াস কাজে ব্যবহারের অ্যাকাউন্ট বলে উল্লেখ করেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
সেই ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫৪০ টকা পাঠানো হয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তাঁর দাবী, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এমনটা হয়েছে।
তবে অন্যদিকে আবার যৌথ মঞ্চের কিছু সরকারি কর্মী জানাচ্ছেন, এই টাকা শিশুদের খাবারের টাকা। এই টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবী করেন তারা। এটাই প্রথমবার নয়, এর আগে বগটুই হত্যাকাণ্ডে আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও মিড ডে মিলের টাকা ব্যবহার করেছিল বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।