তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ! হাতাহাতি, ধ্বস্তাধস্তি কর্মীদের মধ্যে, চলল এলোপাথাড়ি বোমাবাজি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তেজনা ভাঙড়ে

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু এর আগে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে। তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি-ধ্বস্তাধস্তি। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হল বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেও এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল, শুক্রবার রাতে। এদিন ভাঙড়ে গুলি চলে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। এই ঘটনায় আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের দিকে আঙুল তোলে ঘাসফুল শিবির। তবে আইএসএফের এই দাবী নাকোচ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে হাড়োয়া এলাকায় পথ অবরোধ করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। সেই রেশ ধরেই আজ, শনিবার সকালে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
অভিযোগ, জোর করে পথ অবরোধ হটিয়ে দেয় তৃণমূল। তাতেই ক্ষুব্ধ হন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পালটা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলেও দাবি আইএসএফের। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি করা হয় বলেও অভিযোগ।
আইএসএফের দাবী, তাদের ৬ জন কর্মী-সমর্থক জখম হয়েছেন। তৃণমূলেরও বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেই পালটা দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তারা প্রত্যেকেই জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন।
দু’পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের জেরে ভাঙরের হাতিশালা এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
পুলিশ যদি পক্ষপাতিত্ব করে তাহলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পাল্টা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ নওশাদ সিদ্দিকির উপস্থিতিতেই তাদের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির দাবী তুলেছে তৃণমূল।