রাজ্য

পরেশের পর এবার হামিদুল রহমান! ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় নাম চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের মেয়ের, বাবার সাফ কথা, “আমার মেয়ে মেধাবী’

আদালতের নির্দেশে ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীদের (fake recruitment) তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (school service commission)। আর এই তালিকায় এবার নাম উঠল চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের হামিদুল রহমানের (Hamidul Rahman) মেয়ে রোশনারা বেগমের (Roshnara Begum)। তিনি চোপড়ার কালীগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষিকা। ২০১৮ সালে চাকরি পান তিনি। রোশনারার নাম ভুয়ো নিয়োগের তালিকায় উঠে আসায় বেশ অস্বস্তিতে শাসক দল। তবে এই বিষয়ে বিধায়ক বাবার দাবী, এই সব মিথ্যে। তাঁর কথায়, “আমার মেয়ে মেধাবী”।  

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এর সঙ্গে সকলে মিল পেয়েছেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। ভুয়ো নিয়োগের জেরে তাঁর চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনা প্রসঙ্গে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান বলেন যে তাঁর মেয়ে যথেষ্ট মেধাবী। নিজের মেধার জোরেই সে চাকরি পেয়েছে। হামিদুল রহমান এও জানান যে প্রয়োজনে এই বিষয়টি নিয়ে তিনি কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতেও রাজি।

উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার বিধায়ক কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান রামজ ভিক্টরের একটি ফেসবুক পোস্টের পর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আলি ইমরান রামজ তাঁর এই ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিকেও অভিযুক্ত করেছে। হামিদুল রহমানের মেয়ের পাশাপাশি চাকুলিয়ার এক বিজেপি নেতাকেও নিশানা করেছেন তিনি।

কংগ্রেস বিধায়কের দাবী, যদি খাতা পরীক্ষা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে দু’জনই ফেল করেছে। রামজ বলেন, “হাইকোর্ট সম্প্রতি ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে তাতে প্রমাণ হয়েছে তাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ পেয়েছে। জানতে পারি সেই তালিকায় চোপড়ার বিধায়কের মেয়ের নামও আছে। উনি ইংরাজির শিক্ষিকা”।

অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বক্তব্য, ১২ বছর হয়ে গেল তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাই বাবার পরিচয় ভাঙিয়ে তাঁর মেয়ের কিছু করার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের নাম নিয়ে বিতর্ক হলে ওর সার্টিফিকেট, মার্কশিট সবকিছু যাচাই করা হোক। ও পরীক্ষা দিয়ে কত নম্বর পেয়েছে, মৌখিকে কত নম্বর পেয়েছে সেটা দেখা হোক। চ্যালেঞ্জ করে কেউ এলে তার জবাব দেব। আমরাও আদালতে যাব”।

Back to top button
%d bloggers like this: