রাজ্য

‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কী বিধায়ক হিসেবে চান’? বেহালায় গণভোট করল সিপিএম, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকায় গণভোট করল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। ৪৬১ জন ভোট দিলেন এদিন। এই ভোটগ্রহণ হল ৩০শে এপ্রিল অর্থাৎ বিজন সেতুতে গণহত্যার বর্ষপূর্তির দিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা অর্থাৎ বেহালা পশ্চিম থেকে সেই সেতু খুব একটা বেশি দূরে নয়।

রবিবার এই গণভোটের পর সিপিএম যুব সংগঠনের দাবি, ৪৬১টির মধ্যে ৫ টি ভোট বাতিল হয়েছে। ৪৩১ জন গোপন ব্যালট বাক্সে ভোট দিয়ে বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিন। ৩০ জন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

এই ঘটনার কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “গণভোট ডিওয়াইএফআই-এর নির্লজ্জ নাটক। এই ৩০ এপ্রিলই বিজন সেতুতে জীবন্ত হত‌্যা হয়েছিল। কিন্তু একজনকেও গ্রেপ্তার করেনি। তারা সাধু সাজছেন। বেহালা পশ্চিমের লোক মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়কেই চাইবেন”।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের জুলাই মাসের শেষের দিক থেকে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সিপিএমের কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। এই গণভোট নিয়ে তাঁর দাবী, এলাকার অনেক তৃণমূল সমর্থকরাও ভোট দিয়েছেন এও জনমত সমীক্ষায়। একটি ব্যালট পেপারে লেখ ছিল, ‘আপনি কী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধায়ক হিসেবে চান’? ‘হ্যাঁ’ কী ‘না’?

এই প্রশ্ন করা ছিল আর একটি ব্যালট বক্স রাখা ছিল। এলাকার মানুষ এদিন লাইন দিয়ে ভোট দেন। জানা গিয়েছে, মোট ভোটের সাড়ে ৬ শতাংশ ভোট গিয়েছে পার্থর পক্ষে আর ৯৩ শতাংশ ভোট গিয়েছে পার্থর বিপক্ষে। বড়িশা এলাকায় রাখা ব্যালট বক্সে ভোট দেন সকলে।

ডিওয়াইএফআইয়ের দাবী, নিরপেক্ষভাবেই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের প্রিসাইডিং অফিসার করা হয়েছিল। এই বিষয়ে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহার বক্তব্য, “নিয়োগ দুর্নীতিতে মানুষ যে শাসকদলের বিপক্ষে এই ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ”।

কিন্তু একটা গোটা বিধানসভায় মাত্র ৪৬১ জন কেন ভোট দিলেন, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর অবশ্য মেলেনি। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, পরিষেবা পাচ্ছেন না বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের মানুষ। বিধায়ক জেলে। সেই কারণে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এই দাবী তুলে এর আগেও বেহালা পশ্চিমে সই সংগ্রহ থেকে শুরু করে একাধিক কর্মসূচি করে জেলা সিপিএম। অন‌্যদিকে তৃণমূলের বক্তব‌্য, পরিষেবা নিয়ে মানুষের কোনও অভিযোগ নেই।

Back to top button
%d bloggers like this: