রাজ্য

মমতাকে হারাতে এবার এক হল বাম-রাম! বিজেপির মিছিলে লাল ঝাণ্ডা হাতে হাঁটলেন সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা, বিরল জোট হুগলিতে

হুগলিতে (Hoogly) এবার দেখা মিলল এক বিরল জোটের। বিজেপির (BJP) মিছিলে লাল ঝাণ্ডা হাতে সামিল হতে দেখা গেল সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের। সিপিএম (CPM) কর্মীদের কথায়, তাদের দলের কোনও যোগ্য নেতৃত্বে না থাকার কারণেই তারা এই মিছিলে (rally) সামিল হয়েছেন।

আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ জব কার্ড ও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে হারিট পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন জমা দেওয়ার কর্মসূচি করে বিজেপি। সেই কর্মসূচি উপলক্ষ্যেই মিছিল করে গেরুয়া শিবির। আর সেই মিছিলেই দলীয় পতাকা হাতে অংশ নেন হারিট পঞ্চায়েত এলাকার সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা।

এদিন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি অর্ঘ্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হরপুর তেমাথা থেকে মিছিল করে স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা হারিট পঞ্চায়েত যান। এই মিছিলেই তাদের সঙ্গ দেন বাম নেতা-কর্মীরাও। স্থানীয়দের মতে, বাম-রামের এই মেলবন্ধন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হাত শক্ত করবে।

এই বিষয়ে সিপিএম কর্মী সুজিত সাঁতরা জানান যে এলাকায় তাদের কোনও নেতা নেই। তাঁর কথায়, সিপিএম করেন বলে তারা কোনও ঘর পাননি, জব কার্ডও পাননি। কিন্তু রোজদিন পড়ে পড়ে মার খেতে নারাজ। সেই কারণেই তারা বিজেপির মিছিলে যোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

অন্য এক সিপিএম কর্মীর কথায়, সিপিএম নেতারা তাদের কাছে আসেন না। কোনও ঘরবাড়িও পান নি তারা। তারা মন থেকে সিপিএম করলেও, বাঁচার তাগিদেই বিজেপির এই মিছিলে সামিল হয়েছেন। বিজেপির এই মিছিলে বামেদের অংশ নেওয়ার ঘটনায় মুখ খুললেন বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ ।

সুরেশ সাউয়ের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জব কার্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে অনেক আগে থেকেই প্রচার করা হয়েছিল। এলাকার সব মানুষকে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন জানান হয়েছিল। আবেদনে সাড়া দিয়ে সিপিএমের বেশ কয়েকজন কর্মী মিছিলে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। আমরা বারণ করতে পারি না। তাই স্বাগত জানিয়েছি সকলকে”।

তাঁর কথায়, তাদের লক্ষ্য হল আগামী দিনে একটাই বিজেপির ছাতার তলায় সকলকে আনা।এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তীর্থঙ্কর রায় জানান যে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না। তাই কোনও মন্তব্য করবেন না।

Back to top button
%d