প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘মোকা’, আছড়ে পড়বে ১২০ কিলোমিটার বেগে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ, কী প্রভাব পড়বে বঙ্গে?

গভীর নিম্নচাপ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মোকা’। আজ, বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরের আগে তা ১০০-১২০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ-মায়ানমারের কক্সবাজার উপকূলে। এর জেরে উত্তাল হবে বঙ্গোপসাগর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড় মোকা আপাতত রয়েছে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫১০ কিলোমিটার, কক্স বাজার থেকে ১ হাজার ৩২০ কিলোমিটার এবং মায়ানমারের ক্যুক প্যু ছেকে ১ হাজার ২২০ কিলোমিটার দূরে। সমুদ্র পথ ছেড়ে ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে শুরু করেছে। বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আগামীকাল, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শক্তি বাড়াবে মোকা। এরপর শনিবার, ১৩ মে ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা শক্তি হ্রাস করবে। এর ফলে গতিবেগ বাড়বে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোবে ‘মোকা’।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হবে। এই কারণে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বাংলার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের নির্দেশ, যারা বর্তমানে সমুদ্রে রয়েছেন, তারা যেন আজ বিকেলের মধ্যেই উপকূলে ফিরে আসেন।
তবে এই ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র জেরে রাজ্যের আবহাওয়ায় তেমন কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে না। ‘মোকা’র জেরে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস সাগরের দিকে ছুটে যাচ্ছে। আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করার জন্য উত্তর-পশ্চিমের গরম বাতাস ঢুকছে রাজ্যে। এর জেরে আগামী কয়েকদিন গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকবে বঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে।