রাজ্য

স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

আর মাত্র ২ দিন পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে। আর বাড়ছে অশান্তি, হিংসার ঘটনা। এর আগের ভোট হিংসায় বলি হয়েছেন একাধিক। এবার ফের এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হল বীরভূমের মহম্মদ বাজার ব্লকের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী ছবি মাহারার স্বামী দিলীপ মাহারার দেহ।

কী জানাচ্ছেন মৃতের স্ত্রী?

জানা গিয়েছে, প্রথমে নির্দল ওই প্রার্থী ছবি মাহারা বিজেপি প্রার্থী হিসাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তবে বিজেপি পরে তাঁকে টিকিট দেয়নি। সেই কারণে নির্দল হিসাবেই লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর স্বামী মৃত দিলীপ সাহারা সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাই ছবির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরাই তাঁকে মেরে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেহ উদ্ধার হওয়ার পর উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।

ঘটনাটি কী ঘটেছিল?

জানা গিয়েছে, গতকাল, বুধবার রাত থেকে কোনও খোঁজ ছিল না ওই বিজেপি কর্মীর। সকালে গ্রামবাসীরাই দিলীপ মাহারার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ওই ব্যক্তি বিজেপির বুথ সহ সভাপতি ছিলেন বলে জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। মৃতের ছেলে জানিয়েছেন, তাঁর মা ও বাবা উভয়েই বিজেপি কর্মী। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেহ নিয়ে যায় মহম্মদ থানার পুলিশ।

যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ উঠেছে, সেই রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের জয়েন্ট কনভেনার কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে।

তাঁর কথায়, বিজেপির সক্রিয় কর্মী হলে স্ত্রী কেন নির্দল প্রার্থী হলেন, আর যদি প্রার্থী হয়েও থাকেন পরে কেন প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূল নেতা বলেন, “এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল কি না, তা তাঁরাই বলতে পারবেন। আমি চাই নোংরা রাজনীতি বন্ধ হোক। প্রকৃত সত্য কোনও দিন চাপা থাকবে না”।

কী জানাচ্ছে বিজেপি?

অন্যদিকে, বিজেপির দাবী, শাসক দলের তরফে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের চাপ দিচ্ছিল বলে বিজেপির তরফে দু’জন করে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। ছবি মাহারা ছিলেন সেই দ্বিতীয় প্রার্থী। পরে তিনি মনোনয়ন তুলতে না পারায় নির্দলে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি পিনাকী মণ্ডল বলেন, “দিলীপ মাহারা আমাদের দলের বুথ সহ সভাপতি। তাই তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। কালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকজনই এসব করেছে। তাঁর দাবী, মৃতের গলায় দাগ, কানের পাশে রক্তের দাগ রয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: