রক্তপাতহীন, শিষ্টাচার রাজনীতি চান সাংসদ দেব, ‘ওসব সিনেমায় হয়, বাস্তবে নীতিকথা কাজ করে না’, পাল্টা জবাব মমতার মন্ত্রীর

রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সাংসদ দেব (Dev) বারবার বলে এসেছেন শিষ্টাচার রাজনীতির কথা। রাজনীতিতে হিংসার বিরুদ্ধে তিনি। সেই কারণেই হয়ত ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) লড়ার জন্য যখন তিনি টিকিট পেয়েছিলেন, প্রথমদিনই তিনি চলে গিয়েছিলেন তাঁর প্রতিপক্ষ সিপিএম প্রার্থীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে। গতকাল, সোমবার ফের রাজনীতিতে শিষ্টাচার বজায় রাখার কথা বললে তাঁকে পাল্টা জবাব দেন তাঁরই দলের নেত্রী শিউলি সাহা (Shiuli Saha)।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দেব ও মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’। সেই ছবি স্থান পায়নি নন্দনে। এই ছবি নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। দিলীপ ঘোষ, কুণাল ঘোষের মন্তব্যে বিতর্ক ছড়ায়। দেব নিজেও সেই বিতর্কের জবাব দেন। মিঠুনের পাশে দাঁড়িয়ে নিজের দলের নেতাকে নরম সুরেই পাল্টা জবাব দেন তিনি।
গতকাল, সোমবার ঘাটালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, “আমি আর মিঠুনদা যদি বাবা ছেলের মতো থাকতে পারি তাহলে সাধারণ মানুষ বা গ্রামের মানুষরা কেন লড়াই করছে। রাজনীতি মানে মানুষের পাশে থাকা, আপদে বিপদে থাকা”।
দেবের এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই শাসক দলেরই মন্ত্রী শিউলি সাহা যেন দেবকে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে বাস্তবের মাটির রাজনীতি আর সিনেমা এক জিনিস নয়। কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক এদিন দেবের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, “দেব আর মিঠুনদা অভিনয় জগতে বাবা-ছেলে হয়েছেন। সিনেমা জগতে বাবা-ছেলে হওয়া সহজ। বাস্তবের মাটিতে দুটো বিপরীত ধর্মী মতবাদ, আদর্শকে সামনে রেখে বাবা-ছেলে হওয়া যায় না”।
এদিন শিউলি এও বলেন, “দেবের মনোভাব ভাল। কিন্তু মিঠুন চক্রবর্তী যখন গেরুয়া পতাকার তলায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন, তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন এক ছোবলে ছবি তখন এসব নীতিকথা আর কাজ করে না”।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এমন মন্তব্য করে শিউলি এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে সিনেমাতে যতই প্রজাপতি হোক না কেন, বাস্তবের পরিস্থিতি কিন্তু শুঁয়োপোকার মতোই। বাস্তবে পটভূমিতে কোনও রং নেই বরং সবটাই কাঁটায় ভর্তি।