‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলেই এত খু’ন’, পঞ্চায়েত ভোটে প্রাণহানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দুষে তোপ দিলীপের

গতকাল, শনিবার রাজ্যে হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এদিন যেন এক রক্তস্নাত ভোটের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। একাধিক খু’ন, মারামারি, ভোট লুট, দেদার ছাপ্পা ভোট, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব সবই হয়েছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এবার কমিশনকে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ভোটের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাত থেকেই রাজ্যের নানান প্রান্তে শুরু হয়েছিল অশান্তি। শনিবার তা ক্লাইম্যাক্সে পরিণত হয়। ভোটের দিনই রাজ্যে হিংসার বলি হয়েছে ১৫ জন। নানান প্রান্তে যেন মুড়িমুড়কির মতো চলেছে গুলি। এই পরিস্থিতির জন্য কমিশনকে তোপ দেগেছেন দিলীপ ঘোষ।
কী দাবী দিলীপ ঘোষের?
তাঁর দাবী, হাইকোর্টের চাপে পড়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে বাহিনী থাকলেও তা ইচ্ছা করে ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবী বিজেপি সাংসদের। অধিকাংশ বুথে বাহিনী দেখা যায়নি আর সেই কারণে এমন মৃত্যু মিছিল দেখা গিয়েছে রাজ্যে। এই নিয়ে শাসক দলকেও একহাত নেন তিনি।
তৃণমূলের কী বক্তব্য?
দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যের জন্য তাঁকে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। অশান্তির অভিযোগ উড়িয়েই দিয়েছেন তিনি।তাঁর দাবী, দু একটি বিক্ষিপ্ত অশান্তি ছাড়া ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই। কুণাল ঘোষের কথায়, “উনি বুঝে গিয়েছেন বিজেপি কী পাবে, তাই অশান্তির কথা বলা হচ্ছে”।
বিজেপির হারে আদতে দিলীপবাবু খুশি হবেন বলেই দাবী করেছেন কুণাল। এর কারণ হিসেবে দলের নব্য-পুরনো দ্বন্দ্বকে তুলে ধরেছেন তিনি। কুণাল ঘোষের দাবী, “বিজেপির হার মানে শুভেন্দু-সুকান্তর চাপ, তাতে আদতে দিলীপবাবু খুশিই হবেন”।