রাজ্য

ভোটের পরও জারি অশান্তি, নন্দকুমারে ব্যালট বক্স বদলে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

পঞ্চায়েত ভোটের চরম অরাজকতার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। দিকে দিকে খু’ন, বোমাবাজি, মারামারি, ভোট লুট, ছাপ্পা ভোট কিছুই বাদ যায়নি। ভোটের পরদিনও জারি অশান্তি। ব্যালট বক্স লুঠের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ। ভোটের পরদিন রণক্ষেত্র নন্দকুমার।

কী অভিযোগ বিজেপির?

আজ, রবিবার সকালে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুর। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর স্ট্রংরুমে গিয়ে ছাপ্পা ভোট দেয় তৃণমূল। ভোট শেষ হওয়ার পর নন্দকুমার ব্লকের শ্রীকৃষ্ণপুরে ডিসিআরসি সেন্টারে ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাতের অন্ধকারে তৃণমূল ব্যালট বাক্স পাল্টে দেয়। তাই পুর্ননির্বাচনের দাবী জানিয়েছে তারা।

এদিনের এই ঘটনার প্রতিবাদে বাঁশ দিয়ে রাজ্য সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে বিজেপি। তারপর দফায় দফায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভ হঠাতে গেলে বচসায় জড়ায় পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে ফের পথ অবরোধের চেষ্টা করে বিজেপি। তবে তা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্যাপক যানজট তৈরি হয় হলদিয়া রাজ্য সড়কে। হয়রানির মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। নতুন করে যাতে আর অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই কারণে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।

আর কোথায় ছড়ায় উত্তেজনা?

শুধুমাত্র নন্দকুমারই নয়, এদিন আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। জখম উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন। ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হাওড়ার জগৎবল্লভপুরও। রবিবার ভোরে বড়গাছিয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪১ নম্বর বুথের নির্দল প্রার্থী শেখ শফিকুল ইসলামের ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় দু’টি বাইক এবং বাড়ির আসবাবপত্র। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বড়গাছিয়া এক নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ জাফর মোল্লা বলেন, “তিনি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। ওই পরিবারের অনেকেই রাজনীতি করেন। তৃণমূল কর্মীরা এ কাজ করেনি”।

Back to top button
%d bloggers like this: