‘আইসি-রাই তো টাকা তুলে তৃণমূলকে দেয়’, শাসক শিবির ও রাজ্য পুলিশকে এবার একযোগে শানালেন দিলীপ ঘোষ

রাজ্য সরকারকে নানানভাবে তোপ দাগতে কোনও সময়ই কসুর করেন না তিনি। মাঝেমধ্যেই তাঁর নিশানায় থাকে শাসক শিবির। এবার রাজ্য পুলিশকেও (West Bengal Police) একইভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর দাবী, আইসি-রা টাকা তুলে তৃণমূলকে (TMC) দেয়। শুধু তাই-ই নয়, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), সকলেই এদিন ছিলেন বিজেপি সাংসদের নিশানায়।
এমনিতে নিয়মিত ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেখানে নানান ইস্যু নিয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা করলেন তিনি। রাজ্যের তিন আইসির বাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বললেন, “রাজ্যের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা ভালো কথা। এটা আগে করা হলে রাজ্যকে বদনাম হতে হত না। কেউ সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। এরা টাকা তুলে পার্টিকে (তৃণমূল) দেয়। হয়তো সিবিআই তদন্তের কথা রয়েছে, তাই এদের তল্লাশি করা হচ্ছে”।
অন্যদিকে আবার অনুব্রত মণ্ডলের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ প্রসঙ্গে বলেন, “পুলিশের যে কাজ করার কথা ছিল সেটা এখন সিবিআই করছে। পুলিশ এখন অপরাধীদের রক্ষাকর্তার ভূমিকায়। মানুষের মধ্যে কী প্রভাব হবে”?
গ্রুপ ডি-র চাকরি প্রাপকদের তালিকায় বিজেপি সাংসদ ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই বিষয়ে এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “সব পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে, কে নিয়েছে বা কে নেয়নি বলা মুশকিল। অনেকে আমাদের পার্টিতে চলে এসেছে। যার চাকরির দরকার সেই টাকা দিয়েছে। তদন্ত হওয়া দরকার”।
শুধু তাই-ই নয়, ডেবরার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “কীসের জন্য তুলতেন তিনি আমি জানি না। আমাদের একজন মণ্ডল সভাপতি কী দিতে পারেন মানুষকে। এখন তৃণমূল এটাই শুরু করেছে। চাকরি চুরির তালিকায় পাশ করাদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি আছে সেটা দেখানোর জন্য। এটা তো তৈরি হয় বিডিও অফিস থেকে। তাহলে? এভাবে হাওয়া তুলে কোনও লাভ নেই”।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও শানাতে ছাড়েন নি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তাঁর কথায়, “নজরুল মঞ্চ থেকে বার্তা দিয়ে সংগঠন শক্ত হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে দেখেছেন জঙ্গলমহলের কী অবস্থা। মানুষ চোখে চোখ রেখে কী পাননি বলেছেন। এবার কর্মীরা গেলে তাঁদের কলার ধরবে না মানুষ? গিয়ে দেখুক এবার”।