রাজ্য

‘পাশে বসে ডাকাতি হচ্ছে আর উনি জানতেন না? দিদি তো বাধ্য হয়ে সরিয়েছেন’, পার্থর অপসারণ নিয়ে মমতাকে নিশানা দিলীপের

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। ইডি গ্রেফতার করেছে তাঁকে। এর জেরে পার্থকে মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূলের (TMC) সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে পার্থ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্ত ঠিক তবে তবুও যেন এই নিয়ে বিতর্ক কাটছে না। এবার এই নিয়ে মমতাকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থকে অপসারণ করতে চান নি। দলের মধ্যে বিদ্রোহের সৃষ্টি হচ্ছিল, সেই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নিতে এতটা সময় লেগেছে। মেদিনীপুরের সাংসদের কথায়, “দিদি সিদ্ধান্ত নিতে চাননি। তাই উনি সইও করেননি। উনি ছিলেনও না। দলের ভিতরে বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। বাধ্য হয়েই তিনি মেনে নিয়েছেন তিনি” সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, “পাশে বসে এরকম ডাকাতি হচ্ছে’ অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেনই না”।

বলে রাখি, গত শনিবার এসএসসি দুর্নীতির মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। এর আগের দিন রাতে শুক্রবার পার্থর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, ২০টি মোবাইল ও ৫০ লক্ষ টাকার বেশি গয়না। অর্পিতাকেও গ্রেফতার করে ইডি।

গ্রেফতার হওয়ার পরই সংবাদমাধ্যমকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নি। বিপদের সময় পার্থ মমতাকে পাশে পেলেন না বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদের দিনে যে ভাবে পার্থর পাশ থেকে সরে গেলেন, তাতে আর কেউ তাঁর ওপর ভরসা করবেন না।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। এদিনই ঘোষণা করা হয় যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যের তিনটি দফতর অর্থাৎ শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রিত্বের পদ থেকে অপসারণ করা হল। এমনকি, এদিন তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল।

Back to top button
%d bloggers like this: