রাজ্য

‘আমার বাড়ি ঘেরাওয়ের জন্য বলেছিল, এবার দেখ কেমন লাগে’, কনভয়ে হামলা, কুড়মিদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে অভিষেককে তোপ দিলীপের

গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যেয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় গোপীবল্লভপুরে কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। এই নিয়ে অভিষেক বিজেপিকে নিশানা করে কড়া বার্তা দেন। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিষেকের দাবী, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কুড়মিরা। তাঁর সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  

আজ, শনিবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “জয় শ্রীরাম স্লোগান কে শুনেছে? মিডিয়া দেখিয়েছে ‘চোর চোর’ স্লোগান। উনি বলছে যেখানে যাচ্ছি হাজার হাজার লোক পথের ধারে দাঁড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ বলছেন উনি ‘জয় শ্রীরাম’ শুনতে পেলেন”?

অভিষেকের উদ্দেশে দিলীপ আরও বলেন, “আপনি তো নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়েছেন। এত রাতে জঙ্গলে কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন? জঙ্গলমহলের মানুষ শান্তিপ্রিয়। সন্ধেয় বাড়ি চলে যান। কোনও সুস্থ মানুষ রাতে ওইখানে বেরোন না”।

দিলীপের অভিযোগ, অভিষেক জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসীদের অপমান করেছেন। তিনি বলেন, “জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী কর্মীদের অপমান করছেন। ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও পানীয় জল দিতে ব্যর্থ। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত অনেকেই। আবাস যোজনার টাকা লুট করেছে। শৌচালয়ের জন্য ৯০০ থেকে হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন পরিবারকেই শৌচালয় দেওয়া হয়নি। কৃষক-সম্মান নিধির ৬ হাজার টাকাও হজম করে নেওয়া হয়েছে। তারপরেও আপনারা কুড়মিদের আদিবাসী স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে বলে ঠকাচ্ছেন। কিন্তু পাঠানো হয়নি। বারবার তাদের সঙ্গে ধোঁকাদারি করছে তৃণমূল সরকার”।

এর আগে কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দিলীপ ঘোষও। কুড়মিদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রতিবাদে দিলীপ ঘোষের বাংলো ঘেরাও করেছিল কুড়মিরা। এই প্রসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, “দিলীপ ঘোষের বাড়িতে টাকা দিয়ে বাস ভাড়া করে লোক পাঠিয়েছে, বাংলোতে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য পুরুলিয়া থেকে লোক আনানো হয়েছিল। তখন খুব হেসেছিলেন। ওখানকার গরিব মানুষকে আপনারা প্রতারিত করবেন। তারা খেতে পায় না অন্য রাজ্যে মজদুরের কাজ করতে যায় তাদের সঙ্গে উপহাস করছেন”।

তাঁর সংযোজন, “আমরা বলেছি এটি আইনত ব্যাপার নির্দিষ্ট কমিটি আছে তারা বিচার বিবেচনা করবেন। কখনও পক্ষে বলছেন, কখনও বিপক্ষে বলছেন, কখনও সাঁওতাল, কখনও আবার কুড়মিদের খেপিয়ে তুলছেন। গোর্খারাও আপনাদের উপর ক্ষিপ্ত। চালাকি এবং ভাগাভাগির রাজনীতির ফল ভুগতে হচ্ছে। গাড়িতে পাথর পড়তে প্যান্ট ঢিলে হয়ে যাচ্ছে। দু-তিন বছর ধরে আমার পিছনে গুন্ডা লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেখ কেমন লাগে”।

Back to top button
%d bloggers like this: