‘সবে তো শুরু, অর্ধেক দলটাই জেলে ঢুকে যাবে’, চিটফান্ড কাণ্ডে হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যানের গ্রেফতারির পর মন্তব্য দিলীপের

চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) হতে গতকাল গ্রেফতার হয়েছেন হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রাজু সাহানি (Raju Sahani)। তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দাবী করলেন যে এভাবেই আরও অনেক তৃণমূল নেতাই গ্রেফতার হবেন। তাঁর কথায়, দলের অর্ধেকই জেক্লে ঢুকবেন।
এমনিতেই নানান দুর্নীতি নিয়ে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। এসএসসি, গরু পাচার কাণ্ড, কয়লা পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার। গ্রেফতার হয়েছেন দুই প্রভাবশালী নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডল। এই নিয়ে বিরোধীরা কার্যত তুলোধোনা করেছে শাসক দলকে। এবার ফের এক তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির পর কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
আজ, শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, “সবে তো শুরু হয়েছে। আরও অনেকে ঢুকবে। এতগুলো তদন্ত চলছে। সরকারি সব দফতরে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষ চাইছেন, এ সব দ্রুত শেষ হোক। তদন্তও সেই পথেই এগোচ্ছে। তদন্ত চলতে থাকলে অর্ধেক দল, নেতা-মন্ত্রীরা জেলে ঢুকে যাবে”।
গতকাল, শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও এই একই কথাই বলেছিলেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে বড় কিছু ঘটতে পারে। তিনি বলেন, “আগামীদিনে আরও কিছু যাবে বলে মনে হচ্ছে। আজও বড় কিছু ঘটতে পারে, আপনারা লক্ষ্য রাখুন”।
কংগ্রেস প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবী করেছেন যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর বোঝাপড়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে এদিন সুকান্ত বলেন, “বোঝাপড়ার কিছু নেই, আমরা আগেই বলেছি। সেটা প্রমাণিতও হয়েছে। দিদি ঘুরে আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন, দিদির প্রিয় ভাই কেষ্ট জেলে গিয়েছেন”।
বলে রাখি, গতকাল, শুক্রবার একটি চিটফান্ড মামলায় হালিশহর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রাজু সাহানির বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আনা হয় নিউটাউনের একটি আবাসনে। সেখানের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। রাজুর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। গতকালই রাজু সাহানিকে গ্রেফতার করে সিবিআই।