‘এ রাজ্যে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হয়েছে, ইচ্ছা করে তাদের হাতে বোমা-বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে’, সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে সওয়াল দিলীপের

কলকাতায় থাকলে তিনি নিয়মিত প্রাতঃভ্রমণে যান। আর সেখান থেকেই সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। রাজ্যের নানান ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তোপ দাগেন রাজ্য সরকারকে (State Government)। আজ, শুক্রবারও এর অন্যথা হল না। এদিন প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে সংখ্যালঘুদের (minorities) হয়ে সওয়াল করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghoshd)। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুরা বঞ্চিত।
এদিন সংখ্যালঘুদের নিয়ে সওয়াল করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এ রাজ্যে ৩০ শতাংশ মানুষ সংখ্যালঘু। ভেবে দেখার বিষয়, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তারা কী পেয়েছেন? এই ৩০ শতাংশ মানুষ যদি পিছিয়ে থাকে, রাজ্য এগোবে কীভাবে”? মেদিনীপুরের সাংসদ এও দাবী করেন যে সারা দেশে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে মোদী সরকার অনেক পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে গরীব কল্যাণ যোজনার সব থেকে বেশি সুবিধা পেয়েছেন গরীব সংখ্যালঘুরা।
বিজেপি সাংসদের কথায়, সংখ্যালঘুরা পশ্চিমবঙ্গে বঞ্চিত। এতদিন তাদের বিজেপিকে নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে বিজেপি এলে কী না কী হয়ে যাবে। দিলীপের মন্তব্য, সারা দেশে বিজেপি এসে গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষের কথায়, “শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে এতদিন ওদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে হাতে বোমা, বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছে। ওদের এবার ভাবতে হবে, তাঁরা মোদীর সঙ্গে থেকে সুবিধা পাবেন, না দিদির সঙ্গে থেকে আজীবন গরীব হয়ে জীবন যাপন করবেন”।
বিজেপি নেতার এহেন দাবী নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “ওনারা জানেন কে কী করেছে। তাই জন্যই দিদির সঙ্গে রয়েছেন”।
শুধু সংখ্যালঘুদের নিয়ে মন্তব্যই নয়, এদিন মিড ডে মিলে বাসি খাবার প্রসঙ্গেও কথা বলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যজনক। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। কেন্দ্র মিড ডে মিলে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। যাতে দরিদ্র বাচ্চারা লেখাপড়া করতে স্কুলে আসে। তাঁদের উচ্ছিষ্ট খাওয়ানো হচ্ছে। কারা এরা? কী ধরনের লোক এরা? আর এসব খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল এলে তার বিরোধিতা করা হচ্ছে! ওই লোকরাই বিরোধিতা করছে, যারা বাচ্চাদের উচ্ছ্বিষ্ট খাওয়ায়। সব সমাজবিরোধী আজ তৃণমূল নেতা। তাদের কাছে কোনও মানবিকতা বা ভাল কিছু আশা করা যায় না”।