‘দলের বড় বড় নেতারাই যদি গ্যাংস্টার হয়, বাকিরা তো প্রেরণা পাবেই’, অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দিলীপের নিশানায় মদন

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। ভোট যত এগিয়ে আসছে, রাজ্য যেন ততই উত্তপ্ত হচ্ছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই কোমর বেঁধেছে। এরই মাঝে অস্ত্র নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন যে সব অস্ত্র ধরা পড়বে, তা দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁর সেই মন্তব্যেরই এবার পাল্টা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
কলকাতায় থাকলে প্রতিদিনই ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বের হন দিলীপবাবু। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য ও শাসক দলের নানান ইস্যু নিয়ে কটাক্ষ শানান তিনি। আজ, রবিবারও অন্যান্য দিনের মতোই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন তিনি। এদিন ব্যতিক্রম হল না। এদিন মদন মিত্র ও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে একযোগে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি বলেন, “ওনাদের একজন এমপি (সৌগত রায়) কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয়, কী কী জিনিস দিতে হবে সেটাও বলে দিচ্ছেন টিভিতে। এরপর এমএলএ মদনবাবু বলে দিচ্ছেন কীভাবে ট্রেনিং দিতে হবে, ট্রিগারে কোথায় হাত দিতে, কাঁধে কোথায় বন্দুক রাখবে, কার পিছনে দেবে। ওদের বড় বড় নেতা যদি এইরকম গ্যাংস্টার হয়, বাকি যাঁরা আছে তাঁরা তো প্রেরণা পাবেই”।
প্রসঙ্গত, গতকাল, শনিবার নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে মহিলা তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সেখান থেকেই বিজেপি ও দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন তিনি। সোনারপুরের শুটআউট নিয়ে মদন বলেন, “দিলীপবাবু বলেছেন, ওঁরা ওঁদের কর্মীদের ঘরে ঘরে অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। এগুলো তারই অংশ। তবে অস্ত্র কোথায় পৌঁছচ্ছে জানতে পারলে আমাদের ভালই হবে। আমাদের কর্মীরা গিয়ে ওগুলো নিয়ে নেবে। আমাদের কাছে ভাল প্রশিক্ষক রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সেনা কর্মী এবং কর্নেল। আমাদের কর্মীরা ওই বন্দুক নিয়ে প্র্যাকটিস করবে যাতে সেগুলো বিজেপি ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের কর্মীরা বন্দুকে গুলি ঢোকাতে এবং বার করতেও শিখবে”।
বলে রাখি, কিছুদিন আগে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধার হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, “এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়। পশ্চিমবঙ্গে কি এর আগে বোম পড়ত না? বোমা পাওয়া যেত না সিপিএম বা কংগ্রেসের আমলে? আমাদের মুশকিল হল বিজ্ঞানের অগ্রগতি হয়েছে। আমরা ষাটের দশকে যে বোমা দেখেছি, সেই একই বোমা রয়ে গিয়েছে। ওই একটি কৌটার মধ্যে নারকেলের দড়ি পেঁচিয়ে পটাশিয়াম ক্লোরেট, পটাস আর আর্সেনিক ট্রাই সালফাইড দিয়ে বোমা তৈরি হয়। আধুনিক বোমা পর্যন্ত এখানে তৈরি হয়নি। বরাবরই এই ছিল। ষাটের দশকে দেখেছি। তার আগেও নিশ্চয়ই পঞ্চাশের দশকেও ছিল”। এই নিয়েই সৌগত ও মদনকে একযোগে তোপ দাগলেন দিলীপ।