রাজ্য

‘জেল থেকে বেরোলে তবে তো সম্মান দেবে’, অনুব্রতকে ‘বীরের সম্মানের’ মন্তব্যে মমতাকে নিশানা করে কটাক্ষ দিলীপের

গত মাসেই গরু পাচার কাণ্ডে (cattle smuggling case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর গ্রেফতারির পর বিরোধীরা এই নিয়ে তোপ দাগলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কিন্তু কেষ্টর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁকে ‘বীরের সম্মানের’ সঙ্গে ফিরিয়ে আনার পন নিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এবার বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ, “জেল থেকে বেরোলে সম্মান দেবে”।  

অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বারবার তাঁর পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর দেখা যায়নি। অনুব্রতকে ‘বীরের সম্মানের’ সঙ্গে জেল থেকে বের আনার কথা বলেন মমতা। এর আগেও এক সভায় তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, “কেন গ্রেফতার করা হল কেষ্টকে”?

আর গতকাল, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে ছিল তৃণমূলের সমাবেশ। সেই সভা থেকে অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “কেষ্ট বেচারা অসুস্থ। বগটুইয়ে একবার ধাক্কা খেয়েছিল। জেলে বন্দি করে কী ভাবছেন পার্লামেন্টের দু’টি সিট পাবেন? প্রতি ভোটে কেষ্টকে নজরবন্দি করে দেয়”।

এরপরই বীরভূমের ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল নেত্রীর বার্তা, “কেষ্ট না ফেরা পর্যন্ত ৩ গুণ লড়াই হবে। বীরভূমের লাল মাটি হারতে শেখেনি। কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনবেন”।

মমতার এই মন্তব্যের প্রসঙ্গেই কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “জেল থেকে বেরোলে তবে তো সম্মান দেওয়া হবে। সম্প্রতি আমি বীরভূম গিয়েছিলাম। তখনই বুঝে গিয়েছি যে সেখানকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে”।

এদিন দিলীপ ঘোষের হঠাৎই উঠে আসে লালু প্রসাদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “লালু প্রসাদকে জেল থেকে বীরের মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথা ভেবেছিল বিহারের মানুষেরা। কিন্তু বেরোলে তবে তো মর্যাদা দেবে”।

এখানেই শেষ নয়। এদিন বিজেপি নেতা আরও বলেন, “সম্প্রতি আমি বীরভূমে গিয়েছিলাম। এই প্রথম সেখানকার মানুষকে হাসতে দেখলাম। ওদের বেশ খুশি এবং আনন্দিত দেখেছি। মানুষ বর্তমানে ঘর থেকে বেরোতে পারছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: