রাজ্য

‘যে সেনাকে গালাগালি দেন, প্রাণ বাঁচাতে সেই সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হয়েছে’, সেনাছাউনিতে মমতার হেলিকপ্টারের অবতরণের ঘটনায় কটাক্ষ দিলীপের

জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার। বড় বিপদ থেকে বাঁচতে সেবকের সেনা হেলিপ্যাডে জরুরি অবতরণ করানো হয় হেলিকপ্টারকে। এই নিয়েই এবার মমতাকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, “যে সেনাকে গালাগালি দেন, দুর্ভাগ্য হেলিকপ্টার যখন ঝড়ে পড়েছে প্রাণ বাঁচাতে সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হয়েছে”।

আজ, শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরে এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই তিনি বলেন, “আমরা সব সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই কারণ মানুষ তাহলে একটু আত্মবিশ্বাস পায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পান। বিএসএফ রেপিস্ট – খুনি, সেনা তোলাবাজ এই সব বলে বেড়াচ্ছেন। অথচ কেন্দ্রীয় বাহিনী যখন রাস্তায় হাঁটছে মহিলারা ফুল ছেটাচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের লোকে জুতো ছোড়ে আর চোর চোর বলে, আর কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ফুল ছুড়ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা স্যালুট করছে। লোকে খুশি হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কষ্ট বেড়েছে। রোজ গালাগালি দিচ্ছেন। কালকেও দিয়েছেন”।

এরপরই সেনার হেলিপ্যাডে মমতার হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, “যে সেনাকে গালাগালি দেন, দুর্ভাগ্য হেলিকপ্টার যখন ঝড়ে পড়েছে প্রাণ বাঁচাতে সেনার হেলিপ্যাডেই নামতে হয়েছে। ভগবান এরকমই করে। শিক্ষা দেয়, মনে করিয়ে দেয়”।

প্রসঙ্গত, গতকাল, বৃহস্পতিবার এই একই ভাষাতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতৃত্বের দাবী, রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে সেনা ও আধাসেনা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ মনোভাব তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি দাবী, তাঁর এহেন কাজে সেনাবাহিনীর মনোবলে প্রভাব পড়তে পারে। যে সেনাবাহিনী দেশের গর্ব, যে আধা সেনাবাহিনী দেশের অভ্যন্তরীণ ও সীমান্তে পাহারায় থাকে, তাদের সম্পর্কেই পাকিস্তানের ভাষা ব্যবহার করছেন মমতা।

Back to top button
%d bloggers like this: