‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচিতে উৎপাত ‘মা’তা’লদের’! তৃণমূল উপপ্রধানকে অশালীন গালিগালাজ, ইট ছুঁড়ল দলেরই ম’দ্য’প কর্মীরা

‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ (Didir Suraksha Kawaj) কর্মসূচির জন্য চলছিল প্রস্তুতি সভা। সভা থেকে বেরোতেই তেড়ে এল দুই ম’দ্য’প যুবক। সভা সেরে বেরোনোর সময় তৃণমূল উপপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে করা হতে থাকে অশালীন গালিগালাজ। ইট ছোঁড়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে খবর, ওই দুই যুবক উপপ্রধানের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোক। এই ঘটনায় ফের একবার উঠে এল শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের (inner clash) দিকটি। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের (canning) ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি বাজার এলাকায়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এই ঘটনায় বেশ উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল, সোমবার গোলাবাড়ি বাজার এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি নিয়ে প্রস্তুতি সভার বৈঠক চলছিল। এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান তথা দিদির সুরক্ষাকবচের ইটখোলা পঞ্চায়েতের কনভেনার খতিব সর্দার। অভিযোগ, এদিনের এই প্রস্তুতি সভা শেষ করে উপপ্রধান যখন দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে আসেন, ঠিক সেই সময়ই স্থানীয় দুই যুবক ম’দ্য’প অবস্থায় তাঁকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন।
আরও অভিযোগ, দুই যুবক আচমকাই উপপ্রধানকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকেন। লোকজন ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকে। এসব কাণ্ডকারখানার মধ্যে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এক পক্ষ ছিল উপপ্রধানের গোষ্ঠী ও অন্যপক্ষ তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ রয়েছে খতিব সর্দারের ও যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্র সর্দারের মধ্যে। মাঝে মধ্যেই নানান বিষয় নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। এবার দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি নিয়ে শুরু হয়েছে ঝামেলা। এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। এলাকায় পুলিশ ঢোকার আগেই সকলে পালিয়ে। সারারাত এলাকায় পুলিশি টহল চলে।
তবে এই ঘটনায় দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে চাননি স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধান খতিব সর্দার। তিনি দাবী করেন, “দু’জন মাতাল প্রতিনিয়ত তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। এদিনও গালিগালাজ করছিল। কয়েজন প্রতিবাদ করতেই বেশ কয়েকটি ইট ছুড়েছিল মদ্যপরা। ভয়ে লোকজন পালিয়ে যায়। আমি ঘটনার কথা বিধায়ককে জানাই। বিধায়ক পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে”। তাঁর কথায়, এই ঘটনার সঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই।