রাজ্য

মোটা টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে পাচারের ছক মহিলাদের, শিলিগুড়ি থেকে পুলিশের জালে আটক ৫ বাংলাদেশি মহিলা

ভালো কাজ ও মোটা টাকা বেতনের লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল নিষিদ্ধপল্লিতে পাচার করে দেওয়ার। তবে তার আগেই পুলিশের জালে আটক ৩ ভারতীয় এজেন্ট ও ৫ বাংলাদেশি মহিলা।

কী জানাচ্ছে পুলিশ?

শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই ভারতীয় এজেন্টদের নাম ঝন্টু রায়, ফোনি রায় ও সঞ্জয় রায়। এরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি এলাকার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, গত রবিবার রাতে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশের তরফে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ৮ জনকে।

পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশি এজেন্টের মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁটাতার পার করে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে তারা। এরপর উত্তর দিনাজপুর হয়ে পৌঁছয় শিলিগুড়ি। তিন ভারতীয় এজেন্ট ঝন্টু রায়, ফোনি রায় ও সঞ্জয় রায় তাদের অন্যত্র পাচার করত বলে অভিযোগ। এর আগেই খবর পেয়ে রাতে অভিযান চালিয়ে ওই আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মোটা টাকার প্রলোভন দেওয়া হয় বাংলাদেশি মহিলাদের

মহিলারা পুলিশকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এক ব্যক্তি তাদের জানিয়েছিল যে ভারতে গেলে মোটা টাকা বেতনের কাজ করতে পারবেন তারা। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ওই মহিলারা তাই সেই কাজের টোপ গিলে নেন। এরপরই তাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনা হয়। ভারতীয় এজেন্টদের মাধ্যমে শিলিগুড়ি পৌঁছন তারা। এরপরই অভিযান চালিয়ে গত রবিবার নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। সেদিন নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা আনা হচ্ছিল ওই মহিলাদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাংলাদেশি মহিলাদের কারোর থেকেই কোনও নথিপত্র বা পরিচয়পত্র মেলেনি। ধৃতদের গতকাল, সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। পাঁচ মহিলার অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের জন্য তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তিন ভারতীয় এজেন্টদের পুলিশ হেফাজতে পাঠান বিচারক।

এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্রকুমার বলেন, “আমরা ওই তিন এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। মহিলাদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে”।

Back to top button
%d bloggers like this: