মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করার জন্য ২৫০ টাকার বদলে ২৮০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ সরকারি স্কুলে, স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপ করার জন্য সরকারের নির্ধারিত টাকার পরিমাণ ২৫০ টাকা। কিন্তু অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগর ব্লকের একাধিক স্কুলেই এই টাকার থেকে অনেকটা বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ২৫০ টাকার বদলে কোনও স্কুলে নেওয়া হচ্ছে ১৬০০ টাকা, তো কোথাও আবার নেওয়া হচ্ছে ২৬০০ টাকা। আবার টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্য এই টাকার পরিমাণ আরও বেশি বলে জানা গিয়েছে।
সাগর ব্লকে অনেক পরিবারই রয়েছে যারা তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য এককালীন এই টাকা দিতে পারবেন না। সেই কারণে গতকাল, বৃহস্পতিবার বেলাতে অভিভাবকদের একটা বড় অংশ নটেন্দ্রপুর নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ওঠে ওই স্কুলে। এদিন গভীর রাত পর্যন্ত ঘেরাও করা হয় স্কুল। শেষ পর্যন্ত সাগর থানার পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করেন।
জানা গিয়েছে, স্কুলগুলির তরফে এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে। তবে তাঁদের বক্তব্য ছেলেমেয়েদের কোচিং ক্লাস দেওয়ার জন্য আলাদা করে টাকা নেওয়া হয়েছিল। আগামী তিন মাস স্কুলের তরফে পরীক্ষার্থীদের পড়ুয়াদের কোচিং দেওয়া হবে। স্থানীয় শিক্ষক শিক্ষিকারাই স্কুলে এই কোচিং দেবে। তাঁদের সাম্মানিকের জন্যই পড়ুয়াদের কাছ থেকে এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে সাফাই দিয়েছে স্কুল।
সাগর ব্লকের বেশিরভাগ পরিবারই হল দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। তাদের পক্ষে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোটাই বেশ মুশকিলের। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনগুণ টাকা দেওয়া তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার।
এই বিষয়ে এক অভিভাবক জানান, “আমার মেয়ে টেস্টে দুটো বিষয়ে ফেল করেছে। তাই মাধ্যমিকের ফিজ হিসাবে ২৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আসলে ভর্তির ফিজ ৫০০-৬০০টাকা। বাইরে থেকে টিচার নিয়ে এসে পড়ানো হবে বলছে”।
অন্যদিকে, স্কুলের তরফের পরিচালক সমিতির সম্পাদক বলেন, “রেজাল্ট বেরোয়। বেশিরভাগই অনুত্তীর্ণ হয়েছে। যারা ফেল করেছে, তাদের আলাদা ক্লাস নিয়ে পাশ করানোর কথা ভাবা হয়েছে। মিটিংও হয়েছে। বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি। আমি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলব”।