রাজ্য

যাদবপুর ঘটনার রেশ এখন কাটে নি, এরই মাঝে দুর্গাপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেল থেকে উদ্ধার ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল। সেই রেশ এখনও কাটে নি। এমন আবহের মধ্যে এবার ফের হোস্টেল থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ। দুর্গাপুরের বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হোস্টেলের চারতলার ঘর থেকে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই ছাত্রের, তা খতিয়ে দেখছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

জানা গিয়েছে, মৃত ওই পড়ুয়ার নাম সৌরভ কুমার। তিনি বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা তিনি। কম্পিউটার সায়েন্স ও ডিজাইনে তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। গত ২২ আগস্ট শেষবার তাঁকে কলেজ চত্বরে দেখা যায়। এরপর বৃহস্পতিবার বয়েজ হোস্টেলের চারতলার ঘরে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। পড়ুয়াদের মারফতই দুঃসংবাদ পৌঁছয় হোস্টেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান তারা।

ছাত্র সম্পর্কে কী জানান কলেজের ডিন?

বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ডিন ডঃ রাজদীপ রায় জানান যে এই ছাত্র একটু অন্তর্মুখী ছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। ডিনের কথায়, তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্র কলেজ হোস্টেলে থাকতেন। হোস্টেলেই তাঁর কয়েকজন বন্ধু ছিল। বাইরে খুব একটা মেলামেশা করতেন না। ২১ তারিখের পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। রোলকলে তাঁকে না পেয়ে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়।

রাজদীপ রায় বলেন, “আমরা খবর দেওয়ার পরে আজই তাঁর বাড়ির লোক এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পরেই আমরা পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করি। চারতলায় এখন সংস্কারের কাজ চলছে। আজ ইলেকট্রিক মিস্ত্রি উপরে উঠে পচা গন্ধ পান। তারপরেই ওই ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে। সংস্কারের কাজ চলায় উপরে বিশেষ কেউ যাচ্ছিলেন না। তাই এতদিন কারও নজরে আসেনি”।

দুর্গাপুরের বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে র‍্যাগিংয়ের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ছাত্রের পরিবার ও হোস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।

Back to top button
%d bloggers like this: