একের পর এক অশান্তির জের, সরিয়ে দেওয়া হল কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি-কে, বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের

প্রথমে নাবালিকার মৃত্যু ও তারপর পুলিশের গুলিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, সব মিলিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে কালিয়াগঞ্জে। লাগাতার এমন অশান্তির জেরে এবার সরানো হল কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দীপাঞ্জন দাসকে। সেই পদে আনা হল সুবলচন্দ্র ঘোষকে। কালিয়াগঞ্জ থানায় হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গত সপ্তাহে এক নাবালিকা ছাত্রীকে ধ’র্ষ’ণ করে খু’নের অভিযোগ ওঠে কালিয়াগঞ্জে। সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এরপরই পুলিশি অভিযানের সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় এক বিজেপি কর্মীর। এর জেরে অশান্তি চরম মাত্রা নেয়। এই জোড়া মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ১২ ঘণ্টার বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি।
এদিন বন্ধের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় উত্তরবঙ্গের নানান প্রান্তে। কোনও কোনও জায়গায় দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কোথাও বাসে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। অবরোধের জেরে পরিবহণে সমস্যা দেখা দেয়
উত্তরবঙ্গে বন্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি বাসে ভাঙচুর চালায় বিজেপি সমর্থকরা, এমন অভিযোগও ওঠে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপঙ্কর পিপলাই জানান, বন্ধ সমর্থকদের হামলায় চারটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি বাসের চালককে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। উত্তরের নানান জেলায় এদিন বিজেপি বিধায়ক-সহ পাঁচ শতাধিক বন্ধ সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্যদিকে, শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে সরব হন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, খগেন মুর্মুরা। তাদের অভিযোগ, বাংলায় মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর পর তা দেহ পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়েও সরব হন তারা। এ ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।