রাজ্য

বছর শেষে সুখবর! নতুন বছরের আগেই চাকরি পাবেন ১০০-এর বেশি যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

কারোর কাছে তিনি মসিহা, তো কারোর কাছে তিনি সাক্ষাত ভগবান। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর নানান পর্যবেক্ষণ আশার আলো দেখিয়েছে অনেক চাকরিপ্রার্থীদের। এবার বছর শেষের আগেই ১০২ জন বঞ্চিত প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, আগামী ২১শে ডিসেম্বরের মধ্যে শূন্যপদের ১০২টি আসনে কাউন্সেলিং করতে হবে ও ২৯শে ডিসেম্বরের মধ্যে সেই পদপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।

২০১৬-র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নবম-দশম শ্রেণিতে ১৮৩টি বেআইনি নিয়োগের কথা জানিয়েছিল এসএসসি। এদিন এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, ওই ১৮৩ জনের মধ্যে ৮১ জন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ওই দুই সংস্থাকে এদিন আদালতের নির্দেশ দেয় যে আগামী ২১শে ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি ১০২টি পদে নতুন নিয়োগে কাউন্সেলিং করতে হবে।

শুধু তাই-ই নয়, ২৯শে ডিসেম্বরের মধ্যেই নতুন প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দিতে হবে নির্দেশ আদালতের। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “আদালত যখন বলেছে, তখন ওয়েটিং লিস্ট থেকেই আমরা শূন্যপদে নিয়োগ করব। তবে দেখে নেওয়া হবে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের ওএমআর শিট ঠিক আছে কী না”।

এদিন এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডিকে যুক্ত করে আদালত। যদিও আর্থিক দুর্নীতির কারণে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি-ই গ্রেফতার করেছিল। পরবর্তীতে নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক মাথাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি-কে এই মামলায় যুক্ত করায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলা আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিন অন্য একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শিক্ষা পর্ষদ যদি ভালো কাজ করে, তার প্রশংসা আমি করবই। সরকারের যদি সঠিক ভূমিকা থাকে, তবে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের প্রশংসাও করব। আবার যদি দেখি, পর্ষদ বা এসএসসি কোনও ভুল করছে, তবে তার সমালোচনাও করব। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই”। তিনি কেন এমন মন্তব্য করলেন, তা স্পষ্ট হবে। তবে মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি তাঁর নানান পর্যবেক্ষণ নিয়ে শাসক দলের মধ্যে নানান সমালোচনা হয়েছে। তিনিও বলেছিলেন যে তিনি আর মুখ খুলবেন না, সেই কারণেই গতকাল এহেন মন্তব্য করে থাকতে পারেন বিচারপতি।

Back to top button
%d bloggers like this: