‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’, টেট নিয়োগ দুর্নীতির কারণে ৪২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

ফের উঠল নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। এই অভিযোগ সামনে আসার পরই ক্ষুব্ধ হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ৪২ হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। বললেন, “ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব”।
২০১৪ সালে প্রাইমারি টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্য়ানেল তৈরি করে নিয়োগ শুরু হয়। চাকরির আবেদন জানিয়ে ১৪০ জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী মামলা করেছিলেন। তারা দাবী জানান যে সেই সময়ের নিয়ম অনুযায়ী অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করা যেত। প্রায় ৩২ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ২০১৬-র নিয়োগপ্র ক্রিয়ায় নিয়োগপত্র পেয়েছেন।
মামলাকারীরা আরও অভিযোগ তোলেন যে সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকায় দেখা গিয়েছে, মামলাকারীদের থেকেও নম্বর কম পেয়েছেন এমন অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়েছেন।
এই ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪২ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব। যেদিন ২০১৪-র প্রাথমিক টেটের ভিত্তিতে গড়া ২০১৬-র পুরো প্যানেল বাতিল করব সেদিন ঢাকি সমেত বিসর্জনের মানে বলব”।
বিচারপতি আরও বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা নেই বলে চাকরি পায়নি মামলাকারীরা”। মামলাকারীদের আরও বেশ কিছু নথি পেশ করার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
বলে রাখি, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়। ২০১৬ সালে রাজ্যে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। আবার ২০২০ সালে শূন্যপদে নিয়োগ করা হয় ১৬ হাজার ৫০০ জনকে। চাকরিপ্রার্থীরা দাবী করেন যে নানান জেলায় ৩ হাজার ৯২৯টি শূন্যপদ রয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক সিবিআই, শিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক বসে। সেখানেই জানা যায় যে ৪ হাজার শূন্যপদ রয়েছে।