রাজ্য

‘দোষী হলে টাকা ফেরত দিয়ে জেলে যেতে হবে’, গ্রুপ ডি-র ভুয়ো চাকরিপ্রাপকদের ফৌজদারি মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি বসুর

নিজেদের যদি নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারে, তাহলে টাকা তো ফেরত দিতেই হবে, এর পাশপাশি জেলও হবে। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় উত্তরপত্র কারচুপিতে যে ১৬৯৮ জন চাকরিপ্রাপকদের নাম জড়িয়েছে, তাদের উদ্দেশেই আদালতে এদিন এমন মন্তব্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বনাথ বসু। ওই চাকরিপ্রাপ্রকদের এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করার কথাও বলেন তিনি।

এদিন বিচারপতি বসু বলেন, এই ১৬৯৮ জনের বক্তব্য শোনার জন্য অবিলম্বে নোটিশ জারি করতে হবে। তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলে জানান বিচারপতি। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায় যে কয়েকজন তদন্তে সহযোগিতা করলেও, সকলে তা করছে না। যারা সহযোগিতা করছে না, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই পদক্ষেপ করতে পারে।  

এর পাল্টা বিচারপতি বসু বলেন, “সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যেতে হবে জানিয়ে রাখলাম”।

তিনি আরও বলেন, “যে ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপি হওয়ার কারণে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের কেন মামলায় যুক্ত করছেন না? তদন্তে গতি আনুন, আনতে হবে”।

এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই সেই সুযোগ কাজে লাগান নি। উত্তরপত্রে যারা কারচুপি করেছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে সুবিধাভোগী চাকরিপ্রাপকরাও সমানভাবে দোষী। কাউকে রেয়াত করা হবে না বলেই জানায় আদালত।

আজ, বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বসু বলেন, “যাঁরা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন এবং এর ফলে যাঁরা উপকৃত হয়েছেন দু’জনেই সমান ভাবে এই দুর্নীতির জন্য দায়ী। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছিলেন। অনেকে তা নেননি”।

Back to top button
%d bloggers like this: