রাজ্য

‘ইডি মিথ্যে বলে তদন্তকে ভুল পথে চালাচ্ছে’, আদালতে পেশের পথে ফের বিস্ফোরক কুন্তল, মুখ খুললেন ‘কালীঘাটের কাকু’র গ্রেফতারি নিয়ে

ফের একবার আদালতে পেশ করার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ। এবার ইডি-র বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ তুললেন তিনি। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেও কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন তিনি।

আজ, শুক্রবার কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আদালতে পেশ করা হয় তাপস মণ্ডলকেও। এদিন আদালতে পেশ করার সময় নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তাপস মণ্ডলকে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যা বলার কুন্তল বলবে”। মাস চারেক আগেই এই তাপস মণ্ডলের মুখেই কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম প্রথম শোনা গিয়েছিল।

তাপস মণ্ডলের পরই প্রিজন ভ্যান থেকে বের করা হয় কুন্তল ঘোষকে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা। বলেন, “ইডি মিথ্যে কথা বলছে। তদন্তকে ভুল পথে চালিত করছে। সাহস থাকলে তাহলে আমার বয়ান আদালতের সামনে পেশ করুক”।

এর আগে আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময়ই কুন্তল ঘোষ বলেছিলেন যে ইডি-সিবিআই তাঁকে চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য। সেই নিয়ে জেল থেকে তিনি আলিপুর আদালত ও হেস্টিংস থানায় চিঠি লিখে অভিযোগও করেন। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই সিবিআই তলব করে অভিষেককে। প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

গত মঙ্গলবার কালীঘাটের কাকু ইডি-র অফিসে গেলে তাঁকে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয়। তাঁর এই গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থার প্রাক্তন কর্মী।

কালীঘাটের কাকু-এর নাম শোনা যায় গোপাল দলপতি-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। পরে জানা যায়, কালীঘাটের কাকু নামে পরিচিত ব্য়ক্তি আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই ব্যক্তির সঙ্গে একাধিক বেসরকারি সংস্থার নাম জড়িয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে ইডি সূত্রে দাবী, কালীঘাটের কাকু মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ। ২০১৪ প্রাথমিক টেট-এ চাকরি কেনাবেচায় তিনি সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন।

Back to top button
%d bloggers like this: