রাজ্য

‘টাকা খেয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে পুলিশ, পুলিশ ফাঁড়ি তো এটিএম’, দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা

রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে যায় বারাসাতের দত্তপুকুরে। সেখানকার নীলগঞ্জ এলাকার এক বাজি কারখানায় ঘটে বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, পুলিশের মদতেই এলাকায় দু’নম্বরি বাজি কারখানা চলে। অনেকের বাড়িতেই বাজি মজুত করা রয়েছে। এই নিয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানান এলাকাবাসীরা।

এদিন বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে একটি পাকা বাড়ি কার্যত গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে যায়। আশেপাশের প্রচুর বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাশের বাড়ির একটি টালির চালেও আটকে যায় এক ব্যক্তির দেহ। পাড়ার একটি পেয়ারা গাছেও আটকে যায় দেহ।

ইতিমধ্যেই সেই দেহ নামানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যাপক উত্তেজনা গোটা এলাকায়। বিক্ষোভ ঠেকাতে মাঠে নেমেছে ব়্যাফ। এদিকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বারবার অভিযোগ করছেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার দিকে।

কী জানাচ্ছেন স্থানীয়রা?

স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, “নীলগঞ্জের ফাঁড়ি তো এটিএমে পরিণত হয়েছে। পুলিশই টাকা খেয়ে বেআইনি ব্যবসায় সাহায্য করে যাচ্ছে। সব দেখেও হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন পুলিশ কর্তারা”। এমন সব অভিযোগ শুনেও পুলিশের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয়দের কথায়, এখনও অনেক বাড়িতেই প্রচুর বাজি মজুত রয়েছে। কিন্তু পুলিশ সেগুলি উদ্ধারের কোনও চেষ্টা করছে না। এর জেরে ক্ষোভ বেড়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭-৮ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: