‘সারাজীবন হাত খরচা পাবেন, ভবিষ্যৎ একদম নিশ্চিত’, এবার ষাট বছরের বেশি মহিলারাও পাবেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এর টাকা, বাজেটে নতুন সংযোজন

গতকাল, বুধবারই বিধানসভায় নয়া বাজেট পেশ করেছেন রাজ্য অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর এই নয়া বাজেটে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে নতুন ঘোষণা করা হল। এই প্রকল্পে এবার ষাট বছরের বেশি বয়সী মহিলারাও পাবেন টাকা। প্রতি মাসে ১০০০ টাকা পাবেন তারা। এই বাজেট পেশ অধিবেশনের পরদিনই মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। সারাজীবন হাতখরচা পাবেন এবার”।
রাজ্যে মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একুশের নির্বাচনে আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের। সেই অনুযায়ী নির্বাচনে জয়লাভের পর মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু হয়েছে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা ও সাধারণ মহিলারা ৫০০ টাকা পান।
তবে এতদিন এই ভাতা পেতেন ২৫-৬০ বছর বয়সী মহিলারা। এবার এই প্রকল্পের আওতায় এলেন ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও। এতদিন ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে মহিলারা বার্ধক্য ভাতা পেতেন। তবে বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে এবার থেকে ষাটোর্ধ্ব মহিলারা বার্ধক্য ভাতা-সহ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে মাসে ১ হাজার টাকা পাবেন। অর্থাৎ ষাট বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও সরকারি প্রকল্পটির সুবিধা পাবেন মহিলারা।
আজ, বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে অনেকগুলি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আপনাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত। সারা জীবন অন্তত হাতখরচটা পাবেন। খাওয়ার কথা ভাবতে হবে না। আপনাদের জন্য ফ্রি রেশন আছে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য আমাদের একাধিক প্রকল্প আছে। বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী আছে। সুতরাং, আর ভাবনা নেই। মা, বোনেরা, আপনারা সরকারি সাহায্যটা আজীবন পাবেন”।
এদিন ফের একবার আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা। মেদিনীপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। তা দীর্ঘদিন ধরেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগলেন মমতা।
এদিন সভা থেকে তিনি বলেন, “কেন্দ্র টাকা না দিলে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়। রাজ্য থেকে খালি টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে আর রাজ্যবাসীকে বঞ্চিত করছে। এত নতুন প্রকল্প হচ্ছে, বাড়তি টাকা কীভাবে আসবে, কেউ ভাবছে না। আমরা আমাদের সীমিত সাধ্য দিয়েই আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি”।