‘যদি না আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে আমি সবাইকে চাকরি দেব, কেউ আটকাতে পারবে না’, বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবী মমতার

রাজ্য এখন নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) নিয়ে উত্তাল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী। ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশে অনেকের চাকরি বাতিল হয়েছে। এই ঘটনায় এতদিন বিজেপি (BJP) বারবার রজ্য সরকারকে তোপ দেগে এসেছেন। এবার এই নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেই আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আজ, সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মমতা দাবী করেন যে বিজেপি নাকি চাকরি দিতে বাধা দিচ্ছে। তাঁর কথায়, “সবাইকে আমরা চাকরি দেব। আইন মেনেই দেব। শত চেষ্টা করেও আটকাতে পারবে না। লড়াই চলছে চলবে। যদি না আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে”। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের প্রাণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন মমতা।
এই বিষয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় বর্তমানে রাম-বাম একজোট হয়েছে। তিনি এও দাবী করেন যে বাম জমানায় সিপিএম তাঁকে বহুবার প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে। এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “আমাকে পেট্রোল বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। নন্দীগ্রামে আমি গিয়েছিলাম, গুলি চলেছে। লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করেছিল। ওরাই এখন বিজেপি”।
এদিন বিধানসভায় বিশ্বভারতী ও অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি বিতর্ক নিয়েও মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগের ঘটনার বিরোধিতা করে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি এদিন। বলেন, “উনি নাকি জমি দখল করেছেন! অমর্ত্য সেনের মতো লোক জমি চাইলে আমরা পায়ে অর্পণ করে দিয়ে আসতাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে ওরা ওঁনাকে নিয়েও বলত। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। নয়তো তাঁকে নিয়েও কিছু বলত”। শুধু তাই-ই নয়, কোচবিহারে বিএসএফের গুলিতে রাজবংশী যুবকের মৃত্যু নিয়েও এদিন কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি বারবার দাবী করে এসেছে যে বাংলায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। সেই অভিযোগ এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে খারিজ করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা সব থেকে ভালো বাংলায়। এপ্রসঙ্গে ত্রিপুরায় সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের অত্যাচার চলছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন তিনি। বলেন, ত্রিপুরায় আমাদের বহু মিটিংয়ে লোক যেতে দেওয়া হচ্ছে না”
এখানেই শেষ নয়, এদিন নাম না করেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেশ খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও কটাক্ষ করেন যে বাবাকে মন্ত্রী করা হয়েছিল বলে ছেলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যায়নি।