ভাঙড় থানা এবার কলকাতা পুলিশের অধীনে, নতুন ডিভিশন চালুর ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর, নির্দেশ সিপিকে

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। সেখানে অশান্তি যেন থামতেই চাইছে না। সেই কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবার নতুন ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভাঙড়কে এবার কলকাতা পুলিশের অধীনে আনতে চান মমতা। আজ, বুধবার আলিপুর বডিগার্ড লাইনের এক অনুষ্ঠানে এমনটাই জানালেন তিনি।
বছরের বেশিরভাগ সময়ই উত্তেজনা থাকে ভাঙড়ে। আর পঞ্চায়েত ভোটের সময় তো সেই উত্তেজনা মাত্রা ছাড়ায়। পঞ্চায়েত ভোটপর্বের শুরুর থেকেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হলেও হিংসা থামে নি সেখানে। এদিন মমতা নিজেও হিংসার কথা বলতে গিয়ে ভাঙড়ের প্রসঙ্গ তোলেন।
কী সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা?
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোট মেটার পর এবার অশান্ত ভাঙড়কে শান্ত করতে নতুন ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। নয়া ডিভিশন চালুর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, ওই ডিভিশনে মোট আটটি থানা থাকবে। থাকবেন আটজন ওসি। তবে ভাঙড়ের কোন এলাকা কোন থানার আওতায় থাকবে তা এখনও জানা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনা বাস্তবায়নের সমস্ত দায় রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের পরই লালবাজারে ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে। কীভাবে ভাঙড়কে নিয়ে আলাদা ডিভিশন তৈরি করা যায়, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় বিষয়টি পাশ হওয়ার পরে ভূমি দফতর, জুডিশিয়াল দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর ও অর্থ দফতরের অনুমতির পরই কাজ শুরু হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আজকের প্রস্তাবের পরে পুলিশের পদস্থ কর্তারা আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
এই বিষয়ে সিপিএমের কী বক্তব্য?
মমতার এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলছেন, তার কী মানে আছে! ভাঙড়ের একটি অংশ, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের অধীনে রয়েছে। তাতে কী সেখানকার ভোট লুঠ আটকেছে? কলকাতা পুরনিগম নির্বাচনেও তো ভোট লুঠ হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের এলাকা হওয়ায় কি সমাধান হয়েছে? এটা কোনও সমাধান নয়। আসল সমাধান হবে তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরালে”।