‘আমি তৃণমূল না গড়লে বাংলার উন্নতি হত না, লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েকে চাকরি দিয়েছি, আপনারা পারবেন’? ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপিকে তুলোধোনা মমতার

সামনেই ত্রিপুরায় নির্বাচন (Tripura Assembly Election)। প্রচারের জন্য সে রাজ্যে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, মঙ্গলবার সেখানে রোড শো করেন তিনি। এদিন মমতার রোড শো-তে জনস্রোতে ভাসল আগরতলা। হাজার হাজার মানুষ সামিল হন এই রোড শো-তে (road show)। সকলের মুখে স্লোগান উঠল – ‘ঘাসের উপর জোড়াফুল, ত্রিপুরা বাঁচাবে তৃণমূল’। এদিন আগরতলার সভা থেকেও সে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে (BJP) তুলোধোনা করলেন তৃণমূল নেত্রী।
কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে এদিন সভায় মমতা বলেন, “১০০ দিনের টাকা দিতে দেয় না যারা, তাদের ভোট চাইবার অধিকার আছে? আমাদের রাজ্যে হাজার হাজার ছেলেমেয়ে চাকরি পাচ্ছে। দু–একটা ভুল হলে, যারা করেছে, তাদের শাস্তি হবে। ডবল ইঞ্জিন ভয় দেখালে, চুপ করে যেখানে ভোট দেওয়ার দেবেন। বিজেপি বলেছিল, যে চাকরি হারানো ১০ হাজার শিক্ষককে ফিরিয়ে আনবেন। পাঁচ বছর তো হয়ে গেল। আর কবে ফেরাবেন? আমাকে এইসব শেখাবেন না। আমাদের লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হয়েছে”।
এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার মনে করিয়ে দেন, “আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতি এক, অভ্যাস এক, ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা এক। আপনারা মধ্যপ্রদেশে কী করেছেন? উত্তরপ্রদেশে কী করেছেন? ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে যাঁর বিরুদ্ধে, তাঁকেও আপনারা মুক্তি দিয়ে দিয়েছেন। বাংলার থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলা যদি পারে, তাহলে ত্রিপুরা কেন পারবে না? যদি একটু পাই, হাজার গুণ ফেরত দেব। আমরা ভোটের আগে যেটা বলি, ভোটের পর তার থেকেও বেশি করি”।
এদিন বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ শানান মমতা। তাঁর কথায়, “বাংলায় বিজেপি–বাম–কংগ্রেস সব এক। আগেরবার সিপিএমের কমরেডরা বিজেপি হয়ে গিয়েছিলেন। এবার তারা আবার সিপিএম হয়েছেন। ডাবল ইঞ্জিন ভয় দেখালে চুপ করে যেখানে ভোট দেওয়ার দেবেন। ভোটের পর আবার আসব। ডাবল না সিঙ্গল ইঞ্জিন সরকার যাতে হয় সেটা দেখব। বাংলা অনেক এগিয়ে গিয়েছে”।
বাংলার পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “বাংলায় স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। বাংলায় মেডিক্যাল কলেজে যান, চিকিৎসার পয়সা লাগে না। বাংলায় ফেয়ারপ্রাইস মেডিক্যাল শপে ওষুধের দামে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ ছাড় পাওয়া যায়। আমি তৃণমূল কংগ্রেস না গড়লে, বাংলায় পরিবর্তন হতো না। চাইছি ঋণ, তৃণমূলকে ভোট দিন”।