রাজ্য

ভয়াবহ বিস্ফোরণ বাজির কারখানার, চারিদিকে ছড়িয়ে ছিন্নভিন্ন দেহ, প্রবল আতঙ্ক এগরায়, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি নাকি?

আগে ভূপতিনগর আর এবার এগরা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ রাজ্যে। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামে। এই বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে একাধিক মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাস্তায় ছিন্নভিন্ন হয়ে কয়েকটি দেহ পড়ে রয়েছে। আরও কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। সূত্রের খবর, বাজি তৈরির আড়ালে বোমা তৈরি হত। সেখান থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। এগরা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। 

প্রতিদিনের মতো এদিনও স্বাভাবিকভাবেই চলছিল এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহারা আদিকুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা। কিন্তু দুপুর বারোটা নাগাদ ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। আচমকাই কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। জানা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বাজি কারখানা থেকে বেশ দূরে ছিটকে পড়ে কয়েকটি দেহ। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জানা যাচ্ছে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিস্ফোরণের জেরে একাধিক বাড়িতেও আগুন লেগে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কৃষ্ণপদ বাগের ওই বাজির কারখানায় অবৈধভাবে বাজি প্রস্তুত হচ্ছিল। বাজি তৈরির বিপুল মশলা মজুত ছিল। সেই থেকেই এমন বিস্ফোরণ ঘটে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, সেই কারণে প্রশ্ন উঠছে যে এটা কী আদৌ অবৈধ বাজি তৈরির কারখানা না কি বৈধ কারখানা না কি বাজি কারখানার আড়ালেই বোমা বাঁধার কাজ চলছিল? এই সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি. বাজি কারখানা ছিল বলেই খবর পেয়েছি। পুলিশ আগেই তল্লাশি করে বন্ধ করেছিল। তারপরও লুকিয়ে চলছিল। কতজন মারা গিয়েছেন এখনই বলতে পারব না। খুবই খারাপ লাগছে। প্রশাসনকে বলব কড়া হাতে ব্যবস্থা নিতে। আমি বিধায়ক হওয়ার পর এই প্রথম এই ঘটনা। আমি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলাম। পুলিশও টহলদারি করেছে। কিন্তু গোপনে হয়তো চলছিল”।

Back to top button
%d bloggers like this: