স্কুলের কলে নেই জল, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ মিড ডে মিল রান্না, খাবার পাচ্ছে না পড়ুয়ারা

স্কুলের কল থেকে জল পড়ছে না। অনেকদিন ধরেই চলছে এমন। আর জলের অভাবে রান্না হচ্ছে না মিড ডে মিল। এর জেরে খাবারও পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। কিছু কিছু পড়ুয়ার বাড়ি থেকে খাবার এলেও, সকলের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। না খেয়েই স্কুলে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছে বাচ্চারা। আর এর জেরে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কুসুমতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে প্রায় দশদিনের বেশি সময় ধরে কলে জল আসছে না। প্রথম কিছুদিন পাশের বাড়ির কল থেকে পাইপের মাধ্যমে জল এনে মিদড ডে মিলের রান্না চলছিল বটে কিন্তু এখন বাড়ির মালিক আর সেসবের অনুমতি দিচ্ছেন না। আর এরপরই বেড়েছে সংকট।
স্কুলের রান্নাঘরে পড়ে রয়েছে রান্নার সামগ্রী, উপস্থিত রাঁধুনিরাও। কিন্তু রাঁধবে কীভাবে। জলই যে নেই। এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৯২ জন। খাবার না পাওয়ার কারণে দীর্ঘক্ষণ স্কুলে অভুক্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।
এই বিষয়ে মিডডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সবিতা রায় বলেন, “দশদিন ধরে স্কুলের কলে জল আসে না। পাশের বাড়ি থেকে জল নিয়ে মঙ্গলবারও বাচ্চাদের মাংস রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু দুদিন ধরে সেখান থেকেও জল না মেলায় রান্না বন্ধ”।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক গৌতমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, এর আগেও জলের সমস্যা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু কোনওরকমে অবস্থা সামাল দেওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এবার আর সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তাঁর কথায়, “দুর্গাপুর নগর নিগমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও তাতে কোনও লাভ হয়নি”। স্কুলের সহ-শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর বলেছেন যে অবিলম্বে যদি একটি টিউবওয়েল না বসানো হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দুর্গাপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে তারা খবর পেয়েছেন যে জলের অভাবে স্কুলে মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছে না। তারা যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। তবে সেই আশ্বাস আদতে কবে পূরণ হয়, সেদিকে এখন তাকিয়ে সকলে।