মোটা টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট বিক্রি করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী, অভিযোগ পঞ্চায়েত সভাপতির, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল মালদহে

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বারবার সতর্ক করা হলেও অন্তর্দ্বন্দ্ব থামার নাম নেই শাসক দলের। এবার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন দলেরই পঞ্চায়েত সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবি ও তাঁর স্বামী ব্লক সাধারণ সম্পাদক আসরাফুল হকের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট বিক্রি করেছেন মন্ত্রী।
গতকাল, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী, মন্ত্রীর ভাই-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে টিকিট দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জুবেদা বিবি ও তাঁর স্বামী। তারা এদিন এও জানান, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল হিসেবেই লড়াই করবেন তারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এমন অভিযোগের জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। যদিও মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের দাবী এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। তবে এই গোটা ঘটনায় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠকে জুবেদা বিবি দাবী করেন, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাঁর ভাই জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান ও তাদের অনুগামীদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, পাঁচ বছর সভাপতি থাকাকালীন এলাকায় জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করার পরও তাদের ভোটের টিকিট দেওয়া হয়নি। সেই কারণে তারা নির্দল হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জুবেদার স্বামী ব্লক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক জানান মন্ত্রী তাজমুল হোসেন তার ভাই জম্বু রহমান-সহ একাধিক নেতা পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দাবী করেন। ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি হয়েছে। তাঁরা টাকা দিতে পারেননি বলে তাঁদের প্রার্থী করা হয়নি। একটা সময় এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল করলেও এখন এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
তবে পঞ্চায়েত সভাপতির এই দাবীকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাঁর কথায়, “আসরাফুল কে? কী তাঁর পরিচয়? ওদের কথার কোনও ভিত্তি নেই”।