‘বিজ্ঞানকে বাঁচাতে মমতাকে দরকার, মমতাকে ছাড়া বিজ্ঞানের অগ্রগতি অসম্পূর্ণ’, বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সম্পর্কে নানান বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তাঁরই দলের নানান নেতা। আর তা নিয়ে বিতর্কও দানা বেঁধেছে ঢের। এবারও তেমনই এক ঘটনা ঘটল। গতকাল, শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (Burdwan University) গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের প্রেক্ষাগৃহে আঞ্চলিক বিজ্ঞান কংগ্রেস অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস (Ujjwal Biswas)। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আচমকাই উজ্জ্বল বিশ্বাস বলে বসেন, “মমতাকে নিয়ে আসো আর দেশকে রক্ষা করো”। এটি একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সভা ছিল। কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। সেই কারণে মন্ত্রীর মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বেশ সাড়া ফেলে। তাঁর এই মন্তব্যের জেরে নানান গবেষক এবং বৈজ্ঞানিকরা তাঁর সমালোচনায় সামিল হয়েছেন। অনেকেই আবার এহেন মন্তব্যের কারণে চরম ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
এদিন অনুষ্ঠান শেষে উজ্জ্বল বিশ্বাসকে সাংবাদিক মহল থেকে প্রশ্ন করা হয় যে এমন রাজনৈতিক মন্তব্য কেন করলেন তিনি? সপাটে জবাব দিয়ে তিনি বলেন যে বাংলা আজ যে কাজ করে, গোটা দেশে পরে সেই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করে। আর ম্মতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মুখ্যমন্ত্রী, তাই তাঁর মাধ্যমেই নানান কোম্পানি রাজ্যে তথা দেশে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
মন্ত্রীর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই নতুনভাবে ব্যবসা বাড়বে। সেই কারণে তাঁর মনে হয়েছে যে মমতা ছাড়া বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পূর্ণ রূপ পাবে না। বিজ্ঞানের নতুন মাত্রা আসবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই। সেই কারণেই মন্ত্রী জানান যে বিজ্ঞানকে বাঁচাতে মমতাকে দরকার। ।
এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “বর্ধমান একটি ইতিহাস মন্ডিত স্থান। বিভিন্ন জলাশয় ও পুরোনো যে শিল্প নিদর্শন আছে বা বিভিন্ন যে প্রাচীন সৌধ আছে, সেগুলিকে রক্ষা করার পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য ছিল কীভাবে নগরোন্নয়ন সম্ভব”।
তিনি আরও বলেন যে গ্রামগুলির উন্নতির জন্য মাছ চাষ বা সব্জি চাষের ক্ষেত্রেও তাদের এই উদ্যোগ নতুন কোনও মাত্রা আনতে পারে। এদিনের এই অনুষ্ঠানে নানান গবেষক ও বৈজ্ঞানিকগণ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণী ইউনিভার্সিটি ও হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টরা।