‘মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে এটা আমার প্রথম মহড়া’, ধূপগুড়িতে ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিতালী রায়

আজ, মঙ্গলবার উপনির্বাচন ধূপগুড়িতে। এই ভোট নিছকই একটা উপনির্বাচন হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। উত্তরের রাজনীতির নিরিখেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন। এবার সেই কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে প্রচার চালিয়েছে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। কড়া নিরাপত্তার বলয়ে শুরু হয়েছে ভোট।
ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন ছিল বিজেপির হাতে। বিধায়ক ছিলেন বিষ্ণুপদ রায়। তাঁর মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সে কারণেই এই উপনির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও বিশেষ যত্ন নিয়েছে সব দলই। তৃণমূলের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় পেশায় শিক্ষক। ভোটে লড়ছেন আরও এক শিক্ষক ইশ্বরচন্দ্র রায়, তিনি বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী করেছে পুলওয়ামার শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায়কে।
কী বললেন এদিন মিতালী রায়?
এদিন ভোট দিতে যান সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মিতালী রায়। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, “মিতালী রায় বলেন, “নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে এটা আমার প্রথম মহড়া। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যা ঘটেছে মানুষ বিতশ্রদ্ধ। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় মানুষ নিজের ভোট দিতে পারবেন”।
গত রবিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মিতালী রায়। ধূপগুড়ির নেতাজি পাড়াতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী ও তাবড় বিজেপি নেতাদের উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এর ঠিক আগেরদিনই অর্থাৎ শনিবার ধূপগুড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগও দিয়েছিলেন তিনি।
রবুবার দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেওয়ার পর মিতালী রায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, “আমাকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জোর করে প্রচারে নামানো হয়েছে। মানসিক চাপ নিয়ে আমি থাকতে পারছিলাম না”।