রাজ্য

‘কর্ণাটকে তৃণমূল নেই, সেই কারণে ভোট কাটাকাটি হয়নি, তাই বিজেপি হেরেছে’, তৃণমূল-বিজেপি আঁতাত নিয়ে আক্রমণ সেলিমের

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনেও কী তাহলে বাম আর কংগ্রেস জোট বাঁধতে চলেছে? এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা-কল্পনা চলছে। এরই মধ্যে কিছুদিন আগে জল্পনা উস্কে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছিলেন যে মানুষ যদি একজোট হয়, তাহলে নেতারা বাধা দেবেন না। এবার কর্ণাটকে বিজেপির হার নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন তিনি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজেদের সংগঠনকে মজবুত করতে জেলায় জেলায় যাচ্ছেন মহম্মদ সেলিম। গতকাল, শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে আসনে গিয়েছিলেন তিনি। এদিন গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র ভবনে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন তিনি।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রাম বাংলায় সিপিআইএম সমর্থকদের একজোট হওয়ার নির্দেশ দেন মহম্মদ সেলিম। শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে হাতিয়ার করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর নির্দেশও দিলেন বঙ্গ সিপিএমের এই বর্ষীয়ান নেতা। এর পাশাপাশি কর্নাটকে বিজেপির হার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে একযোগে তোপ দাগলেন তিনি। 

সেলিমের কথায়,”যেখানেই মোদী, অমিত শাহ যাবে সেখানেই বিজেপি হারবে। তার কারণ মোদী এবারও ভোটারদের বলেছিলেন ভোট দেওয়ার আগে বাজরংবলির নাম স্মরণ করে বোতাম টিপবেন। ধর্মীয় এই তামাশা আর সাধারণ মানুষ চাইছে না। অনেক হয়েছে। কর্নাটকে বিজেপি বি টিম তৈরি করতে পারেনি। মনিপুর, মেঘালয়, অসমে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাজে লাগিয়ে ভোট কাটাকাটি করতে পেরেছিল। কর্নাটকে সেটা সম্ভব হয়নি। আর সেই কারণেই কংগ্রেস এখানে জিতছে। বিজেপি হারবে তৃণমূল কংগ্রেস ও হারবে মানুষ বেশিদিন এই বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেবে না। স্যালুট কর্ণাটকের সাধারণ মানুষকে”।

উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর রবীন্দ্র ভবনে আসন সংখ্যা খুব বেশি নয়। হাজারের মতো হবে। তবে সিপিএম সূত্রে খবর, এদিন মহম্মদ সেলিমের সভার জন্য এই কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি কর্মী-সমর্থক। এদিন সকালে এই সভার পর গঙ্গারামপুরে পার্টি অফিসে গিয়ে জেলা কমিটির বৈঠক করেন মহম্মদ সেলিম।

Back to top button
%d bloggers like this: