রাজ্য

পদ্মপত্রে এবার মুকুল! বিজেপিকে জেতাতে দুই দশক পর বিধানসভার লড়াইয়ে মুকুল রায়

সামনেই বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলী বেশ কয়েকদিন আগেই নিজেদের প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে দিয়েছে। ধাপে ধাপে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে গেরুয়া শিবির। প্রথমে প্রথম ও দ্বিতীয় দফা ভোটের জন্য ৬০ আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। এরপর গত রবিবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা ভোটের জন্য ৬৩ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করে গেরুয়া শিবির।

কিন্তু এরই মাঝে গুঞ্জন শুরু হয় বিজেপির প্রদেশ অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়কে‌ও প্রার্থী করা হতে পারে। এর জন্য অমিত শাহ্’র নির্দেশে তড়িঘড়ি দিল্লি‌ও উড়ে যান তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন-ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিজেপি সাংসদের ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য গেরুয়া শিবিরে

তবে এবার ঘটনা অনেকটাই পরিষ্কার। গতকাল রাতভর বৈঠকের পর দলীয় সূত্রে জানা গেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবুর ভোটে লড়ার সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ। তবে মুকুল রায় বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে লড়তে আসছেন। অপেক্ষা এখন শুধু প্রার্থী তালিকায় মুকুল রায়ের নাম নথিভুক্ত করার। আসলে প্রথমে বিজেপি দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায় কাউকেই নির্বাচনের পদপ্রার্থী করার কথা বলেনি। কিন্তু এর‌ই মধ্যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপির সদর দপ্তর হেস্টিংসে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন দিলীপ ঘোষ ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়বেন মুকুল রায়। কিন্তু আবারও গতকাল রাতভর বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে দীলিপবাবু এবার আর হয়তো নির্বাচনে লড়বেন না। বরং দীর্ঘ ২০ বছর পর ফের ভোটের লড়াইয়ে নামবেন মুকুল রায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূলকে দাঁড় করানোর অন্যতম কাণ্ডারী ও বর্তমান বঙ্গ বিজেপির চানক্য শেষবারের মতো তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ২০০১ সালে জগদ্দল থেকে বিধানসভা ভোটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি হেরে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে জনমানুষের সামনে তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। এবার দেখা যাক এর ভোটের লড়াইয়ে তিনি জেতেন কিনা!
Back to top button
%d bloggers like this: