রাজ্য

রবীন্দ্রনাথ থেকে উত্তমকুমার, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় উঠে এল বাঙালীর ভাবাবেগ, পাঠ করলেন ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’

বাংলার জনগণকে দুর্গাপুজোর অভিনন্দন জানালেন বাংলাতেই। ঘোষক অঞ্জনা বসু উপস্থিত থাকলেও বাঙালীর ভাবাবেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে বাংলা ভাষাকেই ঢাল করলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “বাংলা ভাষা এতো মিষ্টি যে না বলে থাকতে পারলাম না”।

এইভাবেই ষষ্ঠীর সকালে সল্টলেকের একটি পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র থেকে শুরু করে বাবা লোকনাথ, সকলেরই নাম। নিজের বক্তৃতায় তিনি স্থান দেন উত্তমকুমার-সুচিত্রা সেনকেও। প্রাক স্বাধীনতা থেকে শুরু করে উত্তরকাল, বাংলার সব গর্বের বিষয়কেই এদিন তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল যে, একুশের ভোটে বাংলা জয়ের আশাতেই বিজেপির এই দুর্গাপুজো ও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে, এবার সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। বাঙালীর ভাবাবেগ নিয়ে যে তিনি রীতিমতো চর্চা করেছেন, তা তাঁর বক্তৃতায় স্পষ্ট। একদিকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, অন্যদিকে, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু থেকে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, সকলেরই গুণগানের কথা ফের একবার স্মরণ করিয়ে দেন মোদী।

আবেগের বশেই তাঁকে বলতে শোনা যায় যে, “উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছে যেন দিল্লি নয়, আমি বাংলাতেই আছি”। তাঁর সঙ্গে তিনি এও বলেন যে, বাংলার মানুষ চিরকাল দেশকে উন্নতির পথ দেখিয়েছে। মা দুর্গাকে মেয়ে রূপে আদর করা হয় এই বাংলাতেই, এটাই ভারতীয় সমাজের আধার। এর সঙ্গে দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার কথাও স্মরণ করান তিনি। তাঁর মতে, কৃষকেরা আত্মনির্ভর হলে, তবেই ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এই প্রার্থনা পূর্ণ হবে।

নিজের বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’-এর দু লাইন পাঠও করেন প্রধানমন্ত্রী। হিন্দিতে নিজের ভাষণ দিলেও ভাষণের শুরু ও শেষে তাঁর মুখে শোভা পেয়েছে বাংলা ভাষাই। নিজের বক্তৃতায় তিনি বলেন, তিনি যেন এভাবেই দেশের মায়ের ও দেশের সেবা করে যেতে পারেন। এমনকি, বক্তৃতার শেষে তাঁর উচ্চারনের ত্রুটির জন্য তিনি ক্ষমা প্রার্থনাও করেন।

Back to top button
%d