‘যাদবপুরের মেধাবী ছেলেরা কীভাবে ক্রিমিনাল হয়ে যাচ্ছে, কারা এদের ব্রেন ওয়াশ করছে, তদন্ত হওয়া দরকার’, ছাত্রমৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক নওশাদ

যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য ও রাজনীতি দুই-ই উত্তাল। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবী তুলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। উঠেছে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন। এবার এই ঘটনায় এক বড় প্রশ্ন তুলে ধরলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
আজ, বৃহস্পতিবার যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাড়ি গিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। সেখান থেকেই তাঁর দাবী, যাদবপুরের এই ছেলেগুলোকে কারা ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটির দিকে ঠেলে দিচ্ছে, কারা এদের ব্রেন ওয়াশ করছে, সেটার তদন্ত হওয়া জরুরি।
আর কী বললেন এদিন নওশাদ?
আইএসএফ বিধায়কের বক্তব্য, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই সিস্টেমটা চলে আসছে। এই ব়্যাকেটটা ভাঙা দরকার। এর জন্য সর্বপ্রথম দায়ী অথরিটি। ওরা সক্রিয় থাকলে এই ঘটনা ঘটতো না। যে মারা গেল সেও মেধাবী, যারা অভিযুক্ত তারাও মেধাবী। তাই এই ছেলেগুলো জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কীভাবে এমন ক্রিমিনাল মাইন্ডেড হয়ে যাচ্ছে, কারা ব্রেন ওয়াশ করছে, এর তদন্ত হওয়া দরকার”।
এদিন মৃত ছাত্রের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন নওশাদ
ভাঙড়ের বিধায়ক বলেন, “এতবড় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে আমরা সবাই হইহই করছি। মফস্বলেও ব়্যাগিংও হয়। সেখানে হয়তো পার্টির রঙ দেখে ব়্যাগিং হয়। শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের এটা দেখা উচিত। অবিলম্বে অ্যান্টি ব়্যাগিং কমিটিকে গুরুত্ব দেওয়া হোক। কারণ, ব়্যাগিং কখনওই সুস্থ মানসিকতার বর্হিপ্রকাশ হতে পারে না”।
যাদবপুর কাণ্ডের অগ্রগতির দিকে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমাত বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেছেন নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে। নওশাদের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এটা দেখছেন, আমি আশা করব উনি স্বল্প সময়ের মধ্যে রাজনীতির রঙ না দেখে দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন”। তাঁর দাবী, যাদবপুরে অবিলম্বে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো দরকার। তাঁর কথায়, “ওটা তো বাড়ির বেডরুম নয়, যে সিসিটিভি বসাতে দেবে না”।