শুভেন্দুকে কালো পতাকা, বিরোধী দলনেতার সভা শেষ হতেই ফের রণক্ষেত্র যাদবপুর, তুমুল সংঘর্ষ বিজেপি ও আরএসএফ ছাত্রদের মধ্যে

গতকাল ছিল তৃণমূল বনাম আইসা ও এসএফআই। আর আজ বিজেপি বনাম আরএসএফ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুতে আজ, বৃহস্পতিবার যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রতিবাদ সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। সভা শেষেই তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে এবিভিপি ও আরএসএফ ছাত্র সংগঠনের মধ্যে।
কী ঘটেছে ঘটনাটি?
স্থানীয় সূত্রের খবর, সভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সঙ্গে এবিভিপির সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব দু’পক্ষই।
এবিভিপির অভিযোগ, রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্ট বা আরএসএফ শুভেন্দুকে দেখে কালো পতাকা দেখান। এর জেরে বচসা থেকে মারধরে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পাল্টা হিসেবে আরএসএফ নেতৃত্বর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই এদিন কর্মসূচি শেষে হামলা চালিয়েছে এবিভিপি। ঘটনায় দু’পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।
কী অভিযোগ উঠেছে?
আরএসএফের এক সদস্যের অভিযোগ, বিজেপির ছাত্র সংগঠনই হামলা চালিয়েছে। তাঁরা স্লোগান তুলেছেন, ”শুভেন্দু এখানে কেন এসেছেন, আয় বুঝিয়ে দেব”।
আক্রান্ত এক অতি-বাম ছাত্র বলেন, “এভাবে যাদবপুরে বিজেপি এবং তৃণমূল অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছে। যতবার এভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশ খর্ব করার চেষ্টা হবে, ততবার আমরা এভাবে প্রতিরোধ করব”।
বিরোধী দলনেতাকে কালো পতাকা দেখানো নিয়ে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ”দেখিয়েছি কালো পতাকা। সেটা গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পড়ে”। দু’পক্ষের এহেন সংঘর্ষের জেরে যাদবপুর এইট বি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয় এদিন। আর সমস্যার মুখে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।