অফিস থেকে উদ্ধার ৮০ কেজির বিস্ফোরক, পুনর্নির্বাচনের দিনই NIA-এর হাতে গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী

আজ, সোমবার ছিল পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচন। আর এদিনই এনআইএ-র জালে গ্রেফতার হলেন বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল প্ররাথি মনোজ ঘোষ। কিছুদি আগেই মহম্মদ বাজার থানা এলাকা থেকে প্রচুর পরিমাণ জিলেটিন-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছিল এনআইএ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই এবার গ্রেফতার করা হল তৃণমূল প্রার্থীকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নলহাটিতে এনআইয়ে হানা দিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষের বাড়ি বাণীড় গ্রামপঞ্চায়েতে বাহাদুরপুরে। সেখানে পাথর ভাঙার কারখানা রয়েছে তাঁর। রয়েছে বেশ কয়েকটি পাথর খাদানও রয়েছে। গত ২৮ জুন তাঁর কারখানার দফতরের হানা দিয়েছিল এনআইএ। সেই সময় দুই ব্যাগ ভর্তি বিস্ফোরক ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। একটি ব্যাগের ওজন ছিল ৩০ কেজি আর অপরটি ছিল ৮০ কেজির।
ওই দিন মনোজ ঘোষ ছিল না সেখানে। সেই কারণে তাঁর ম্যানেজার পার্থ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল এনআইএ। এনআইএ জানতে পারে যা পাথর ভাঙার কাজে ওই বিস্ফোরকগুলি ব্যবহার করার জন্য সেখানে রাখা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনআইএর দফতরে ডেকে পাঠানো হয় মনোজকে। কিন্তু হাজিরা দেন নি তিনি। এরপরই হাইকোর্টের দারস্থ হন মনোজ।
এই বছর পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন মনোজ। সেই কারণে ভোট না মেটা পর্যন্ত এনআইএর কাছে হাজিরা দেওয়াতে আদালত ছাড় দেয় মনোজকে। তবে ১০ জুলাই তাঁকে এনআইএর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই মতো সোমবার নলহাটিতে থানাতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল মনোজকে। বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় ওই তৃণমূল প্রার্থীকে।
প্রসঙ্গত, নলহাটি এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান রয়েছে, তার বেশিরভাগেই সরকারি অনুমতি নেই। কিন্তু তাও বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়েই খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টিম। পরে সেই তদন্তভার যায় এনআইএ-র উপর। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রার্থীকে গ্রেফতার করল এনআইএ।