অভিষেকের মিছিলে যাতে ষাঁড়, কুকুর, ছাগল, গরু না ঢুকে পড়ে, রাস্তা পরিষ্কার রাখতে বিডিওদের কড়া নির্দেশ পুলিশ সুপারের

শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচি চালাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে তাই জেলার সমস্ত বিডিও ও হাওড়া সদর ও উলুবেড়িয়া সদরের এসডিও-কে চিঠি লিখে নির্দেশ দিলেন জেলা পুলিশ স্বাতী ভাঙারিয়া।
জানা যাচ্ছে, এই চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো, অধিবেশন, সভা, মিছিল, ভোটিং হবে ৯টি বিধানভায়। এই সময় এমন কর্মসূচির সময় যাতে গরু, ছাগল, ষাঁড়, কুকুর রাস্তায় না চড়ে বেড়ায়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হল বিডিওদের। জেড প্লাস নিরাপত্তা পান অভিষেক। তাই তাঁর নিরাপত্তাতে যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সেই কারণেই এমন নির্দেশ।
হাওড়া পুলিশ সুপারের এই নির্দেশ নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রশাসনের তরফে এমন এই নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে কী না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এর জবাবে পুলিশ সুপারের দফতরের তরফে বলা হয়েছে, জেড প্লাস প্রোটেক্টির মিছিল যাবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে অমিত শাহ বা জেপি নাড্ডার রোড শো হলেও একই ব্যবস্থা করা হত। হয়ত কিছুই হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক মিছিলে ষাঁড় ঢুকে পড়ে সাধারণ মানুষকে আহত করার ঘটনা বাংলাতে ঘটেছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশকেই দায়ী করা হবে তখন।
হাওড়ায় কোনও রাজনৈতিক মিছিলে ষাঁড় ঢুকে পড়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। একুশের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হুইলচেয়ারে করে প্রচার চালাচ্ছিলেন, সেই সময় হাওড়ার সালকিয়ার রোড শো-তে একটা ষাঁড় ঢুকে পড়ে। প্রায় ৪৫ মিনিট লণ্ডভণ্ড করেছিল।
আবার ২০১৮ সালে শিলিগুড়িতে মুকুল রায়ের মিছিলে ঢুকে পড়ে ষাঁড়। সেই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ২০১৯ সালে আরামবাগে তৃণমূলের মিছিলে দুটো ষাঁড় ঢুকে মারামারি শুরু করে। তাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ৭ জন মহিলা কর্মী। আবার হুগলির হিন্দমোটরে সিপিএমের একটি মিছিলে ষাঁড়ের গুঁতোয় ৬ জন দলীয় কর্মী বেশ আহত হন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, হাওড়া বা হুগলির রাস্তায় এভাবে ষাঁড় সমস্যা বহুদিনের। রাজ্যের অন্য জেলায় এমন সমস্যা নেই। এর আগে উত্তরবঙ্গে ও পশ্চিমের জেলায় কর্মসূচি করেছেন অভিষেক। সেখানে এমন সমস্যা হয়নি। হাওড়া বলেই এমন সতর্কতা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে, এমনটাই জানা যাচ্ছে।